চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ভারতে নিষিদ্ধ ই-সিগারেট

শিশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও সিগারেটে আসক্তির হ্রাসে সিগারেটের পরিবর্তে বহুলভাবে ব্যবহৃত ই-সিগারেট ও এই ধরণের অন্যান্য পণ্য নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।

বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।

অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেন, তামাকের আসক্তি মোকাবিলার হাতিয়ার হিসাবে এটিকে ব্যবহার করা হলেও এই ই-সিগারেট বা বৈদ্যুতিক সিগারেট এবং এই ধরণের অন্যান্য পণ্যগুলি একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিশুরাও না বুঝে ই-সিগারেটের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে। এই ই-সিগারেট নিষিদ্ধকরণ এখন থেকেই কার্যকর করা হল।

এখন থেকে ই-সিগারেট সম্পর্কিত যে কোনও উৎপাদন, আমদানি, রপ্তানি, পরিবহন, বিক্রয়, বিতরণ, সঞ্চয় এবং বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করতে অধ্যাদেশের আবেদন চেয়ে রাষ্ট্রপতি রাজনাথ কোবিন্দ এর কাছে আবেদন জানিয়েছে দেশটির মন্ত্রী পরিষদ।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশাবলী অনুসরণ করে ই-সিগারেট অধ্যাদেশ, ২০১৯-এর নিষিদ্ধকরণে সম্প্রতি দেশটির মন্ত্রিসভা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে চালায়।

ই-সিগারেটকে স্টাইলিশ হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে বলে মন্ত্রী সীতারামন বলেন, ‘এই জাতীয় সিগারেট দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আগেই সরকার এটাকে বন্ধ করতে চায়। দেশে প্রায় ৪০০ ব্র্যান্ডের, ১৫০ ফ্লেবারের ই-সিগারেট প্রচলিত থাকলেও এসব ই-সিগারেটের একটিও ভারতে উৎপাদন হয় না।’

শিশু ও তরুণদের মধ্যে ই-সিগারেটে আসক্তি মহামারি আকার ধারণ করার আগেই দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করতে সরকারের কাছে আবেদন জানায়। সরকারের কাছে দেয়া ওই প্রস্তাবে প্রথমবার আইন ভঙ্গকারীদের এক লাখ রুপি এবং দ্বিতীয়বার আইন ভঙ্গকারীদের জন্য ৫ লাখ টাকা জরিমানা ও তিন বছরের জেল চেয়ে প্রস্তাবনা দেয়া হয়।

ধূমপান জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে প্রতি বছর নয় লাখ মানুষ মৃত্যুবরণ করে। কিন্তু দেশটিতে প্রায় ১০ কোটির বেশি তরুণ ধূমপানে আসক্ত রয়েছে।

নরেন্দ্র মোদি সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে প্রথম ১০০ দিনের এজেন্ডার মূল অগ্রাধিকারগুলির মধ্যে ছিল ই-সিগারেট, হিট-নট-বার্ন স্মোকিং ডিভাইস, ভ্যাপ এবং ই-নিকোটিন স্বাদযুক্ত বিকল্প ধূমপানের যন্ত্র নিষিদ্ধ করা।