টেস্ট সিরিজে দেখানো দাপটটা উল্টো হয়ে ফিরে আসছিল ওয়ানডে সিরিজে। টানা তিন ম্যাচে হারের পর সেটা খানিকটা ফিরিয়ে দিতে পারল সাউথ আফ্রিকা। সিরিজের চতুর্থ ওয়ানডেতে ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে ৫ উইকেটে জিতেছে স্বাগতিকরা।
প্রোটিয়ারা এতে সিরিজে টিকে থাকল। ছয় ম্যাচের সিরিজে ভারত এগিয়ে ৩-১ ব্যবধানে। মঙ্গলবার পোর্ট এলিজাবেথে পঞ্চম ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে দুদল।
জোহানেসবার্গে শুরুতে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৮৯ রান তোলে ভারত। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে সাউথ আফ্রিকার সামনে পরিবর্তিত লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৮ ওভারে ২০২; ১৫ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখেই সেটি টপকে যায় স্বাগতিকরা।
ওয়ান্ডারার্সে শুরুতেই রোহিত শর্মাকে (৫) হারায় ভারত। পরে যথারীতি শেখর ধাওয়ান ও বিরাট কোহলির প্রতিরোধ। দুজনে ১৫৮ যোগ করেন। ৮৩ বলে ৭ চার ও একটি ছক্কায় কোহলি ৭৫ রানে ফিরলে ভাঙে উড়তে থাকা জুটি।
পরে সেঞ্চুরি তুলে নেন ধাওয়ান, শততম ওয়ানডেতে ক্যারিয়ারের ১৩তম। শততম ওয়ানডেতে আর কোন ভারতীয়র সেঞ্চুরি নেই। তবে বিশ্বে আরও আটজন আছেন। এটি ২০০১ সালের পর প্রোটিয়াদের বিপক্ষে তাদের মাটিতে ভারতের কোন ওপেনারের প্রথম সেঞ্চুরিও।
তখনও সামান্য হানা দিয়েছিল বৃষ্টি। সেটা থামলে ১০৯ রানে ফিরে যান ধাওয়ান। ১০৫ বলে ১০ চার ও ২ ছক্কার ইনিংস সাজিয়ে। পরে মহেন্দ্র সিং ধোনি ছাড়া আর কারও ব্যাটে প্রতিরোধ আসেনি। সাবেক অধিনায়ক করেন ৪২ রান।
জবাব দিতে নেমে আফ্রিকানরা দেখেশুনেই এগিয়েছে। টপ অর্ডারে অধিনায়ক মার্করাম ২২, আমলা ৩৩, ডুমিনি ১০, এবি ডি ভিলিয়ার্স ২৬ রানের অবদান রাখেন।
সেখান থেকে মিলার ও ক্লাসেন ৭২ রান যোগ করে ম্যাচের লাগাম টেনে নেন। ৪ চার ও ২ ছয়ে ২৮ বলে ৩৯ রানে ফেরেন মিলার।
ফেলুকোয়ওকে নিয়ে বাকিটা কাজটা সারেন ক্লাসেন। ২৭ বলে অপরাজিত ৪৩ রানের ইনিংস তার, ৫ চার ও এক ছয়ে। আর মাত্র ৫ বলে অপরাজিত ২৩ রানের ঝড় তোলেন ফেলুকোয়ও, এক চার ও ৩ ছয়ে।