আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন: বিএনপি নিজেদের নেত্রীর মুক্তির দাবিতে একটা বড় মিছিল পর্যন্ত করতে পারেনি। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে তারা নালিশ এবং প্রেসব্রিফিংয়ের রাজনীতি শুরু করেছে।
শুক্রবার ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটি’র (ডিআরইউ) ‘মিট দ্যা প্রেস’ অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
বিএনপি’র সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন বিরোধীদল শক্তিশালী হলে গণতন্ত্রও শক্তিশালী হয়। কিন্তু ‘আমাদের পারস্পরিক বিরোধী রাজনীতির কারণে বিদ্বেষের দেয়াল উঁচু হয়েছে। বেগম জিয়ার ছোট ছেলে কোকোর মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহমর্মীতা জানাতে খালেদা জিয়ার কাছে গিয়েছিলেন। খালেদা জিয়া সেসময় দেখা করা তো দূরের কথা বাসার গেট পর্যন্ত খোলেন নি। তারা সম্প্রীতি গড়ে উঠতে দেননি।’
বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এক বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মানুষের মনে কথা পড়তে পারে না, এ দাবি সঠিক নয়। পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা হলেন শেখ হাসিনা। একজন শিশুও তার কাছে চিঠি লিখতে পারেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যে কোনো শিশুর লেখা যে প্রধানমন্ত্রী পড়েন তার উদাহরণ রয়েছে। একটি শিশুর লেখা চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে পটুয়াখালিতে ব্রিজ নির্মাণের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। শেখ হাসিনা অসহায়দের বুকে জড়িয়ে ধরে স্বস্তি পান বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
ডিআরইউ’র মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে সেতু মন্ত্রী বলেন, বিএনপি সাধারণ মানুষের মনের কথা বুঝতে পারা তো দূরের কথা, নিজের দলের নেতাকর্মীদের মনের কথাই বুঝতে পারে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রাতের অন্ধকারে এই দলটি তাদের গঠনতন্ত্র থেকে ৭ ধারা বাতিল করেছে। আসলে তারা কি আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজদের প্রতিষ্ঠিত করতে চায় ? তিনি এ প্রশ্নও উত্তাপন করেন।
এ ধারা কেন বাতিল করা হলো তার জবাব মির্জা ফখরুল কখনো দেননি এ কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রিপোর্টাদের উদ্দেশে বলেন, ‘এ ব্যাপারে আপনারা তাঁকে জিজ্ঞাসা করবেন, কেন এমনটা করা হলো’।
সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচন নিয়ে সমালোচনা করে। অথচ নির্বাচনের আগে হইচই করলেও ভোটের দিন তাদের মাঠে পাওয়া যায় না।’
তিনি এ সময় মন্তব্য করেন, বিচার বিভাগ স্বাধীন বলেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও অপরাধ করে ছাড় পাচ্ছে না। আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলাও চলছে। এ ব্যাপারে সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করে না।
ওবায়দুর কাদের বলেন, ‘বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিলো তখন কি দেশে দুর্নীতি হয় নি ? তাদের ক’জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে? একজনও দেখাতে পারবে না !’
ডিআরইউ’র সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চেীধুরী ।