মুক্তির দিনেই বৃষ্টির মুখে দেশের তারকা অভিনেতা শাকিব খানের আলোচিত ছবি ‘ভাইজান এলো রে’! সকাল থেকে বৃষ্টি থাকায় আশঙ্কা ছিলো, প্রেক্ষাগৃহে লোকজন আসবে তো? কিন্তু সব আশঙ্কা দূরে ঠেলে দেশের প্রতিটি প্রেক্ষাগৃহে দর্শক সমাগম সন্তুষ্টিজনক বলে জানিয়েছেন হল মালিকরা।
শুক্রবার রাজধানী ঢাকাসহ দেশের ১০৯ টি সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে ‘ভাইজান এলো রে’। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হলেও কমেনি ‘ভাইজান’ দেখতে আসা দর্শকের আগ্রহ। বরং বৃষ্টি উপেক্ষা করে ‘ভাইজান’ দেখতে উপড়ে পড়া ভিড়ের খবর পাওয়া গেছে।
দেশের কয়েকটি সিনেমা হল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে। রাজধানীর পল্টনের জোনাকি সিনেমা হলে চলছে ‘ভাইজান এলো রে’। হলের ব্যবস্থাপক দেলোয়ার হোসেন চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, দুই শোতে ভালো দর্শক ছিল। মনে করেছিলাম বৃষ্টিতে ছবিতে দর্শক আসবে না। কিন্তু ধারণা পাল্টে গেছে। সন্ধ্যার শোর জন্য আগাম টিকেট বিক্রি হচ্ছে। ভালো ছবি হলে যে দর্শক সিনেমা হলে আসে তার প্রমাণ ‘ভাইজান এলো রে’।
মিরপুর ১ এর সনি সিনেমা হলেও চলছে ভাইজান এলো রে। সেখানকার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, মর্নিং (সাড়ে ১০টা) এবং স্পেশাল (সাড়ে ১২ টা)’র শোতে হাউজ ফুল হয়নি। এভারেজ দর্শক ছিল। ম্যাটানি শো হাউজফুল হবে। বৃষ্টি হলে দর্শক কমবে না। আগামী তিন-চার দিন রমরমা অবস্থা থাকবে। কারণ, আমি ছবিটা দেখে ফেলেছি। দর্শক খাবে ছবিটা।
‘ভাইজান এলো রে’ প্রদর্শন করলে শ্যামলী সিনেমা হল। সেখানকার ব্যবস্থাপক আহসানউল্লাহ বলেন, সাড়ে ১২ টা থেকে এখানে শো শুরু হয়। নামাজের কারণে ২০ টির মতো আসন ফাঁকা ছিল। তিনটা শো হাউজফুল হয়েছে। সন্ধ্যার শোতেও হাউজফুল হতে পারে। বৃষ্টির কারণে ব্যবসায় কোনো প্রভাব পড়েনি। দেখা যাক সপ্তাহের বাকি দিনগুলো কেমন হয়।
টঙ্গির চম্পাকলি হলের এক কর্মচারি জীবনের সঙ্গে যখন কথা হচ্ছিল সাড়ে তিন টার শো তখন শুরু হবে। তিনি জানান, প্রথম দিনেই ‘ভাইজান এলো রে’ দেখেতে যতটা দর্শক আসছে, ঈদের ছবিতেও এত পরিমাণ দর্শক দেখিনি। মারমার কাটকাট অবস্থা। ভিড় সামলানো মুশকিল হয়ে পড়ছে। আগামী শোয়ের টিকিট নিতেও অনেকেই আসছেন।
রাজধানীর বাণিজ্যিক এলাকা মতিঝিলের খ্যাতনামা মধুমিতা হলে চলছে ‘ভাইজান এলো রে’। হল মালিক ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ দেশের বাইরে থাকায় কথা বলেন কর্মচারি বিল্লাল হোসেন। তিনি জানান, সাড়ে ১২ টায় শোতে ‘ভাইজান’ দেখেছি। হাউজফুল ছিল। বিকেলের শোতেও ভালো দর্শক। একই অবস্থা যশোরের মনিহার সিনেমা হলেও।
সেখানকার সার্বিক দায়িত্বে আছেন তোফাজ্জেল হোসেন। তিনি জানান, আমি আজ হলে নেই। পারিবারিক কাজে যশোরের বাইরে আছি। তবে খবর নিয়ে জানতে পেরেছি দুপুরের শোতে ভালো দর্শক ছিল। বিকেলেও প্রচুর দর্শক এসেছে। এভাবে দর্শকের উপস্থিতি বেশি হলে টানা কয়েক সপ্তাহ চলবে ‘ভাইজান’।
সাফটা চুক্তির মাধ্যমে কলকাতার ‘ভাইজান এলো রে’ বাংলাদেশে মুক্তি পেয়েছে। এদেশে ছবিটি মুক্তি দিয়েছে এন ইউ আহমেদ ট্রেডার্স। এসকে মুভিজ প্রযোজিত ‘ভাইজান এলো রে’ গেল ঈদে পশ্চিমবঙ্গে ৭৫ সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছিল।
শাকিব খান ছাড়াও বাংলাদেশের দীপা খন্দকার, মনিরা মিঠু, শাহেদ আলী কলকাতার জনপ্রিয় নায়িকা শ্রাবন্তী, পায়েল, শান্তিলাল, রজতাভ দত্ত প্রমুখ অভিনয় করেছেন ছবিতে। ছবির পরিচালক জয়দীপ মুখার্জি।