রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন নিজ বিভাগের এক নারী সহকর্মী শিক্ষক। গত ৩১ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি প্রফেসর এম আব্দুস সোবহানের কাছে লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে এই মানসিক নির্যাতনের প্রতিকারও দাবি করেন।
যৌন হয়রানির শিকার সেই শিক্ষক সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, ‘আমার বিভাগের শিক্ষক ও সহকর্মী প্রফেসর রুহুল আমিন স্যারকে ২০১২ সালের জুলাই মাসে পিএইচডি সুপারভাইজার হিসেবে গ্রহণ করি। কিন্তু বিগত দুই বছর ধরে তিনি আমাকে একাডেমিক ও যৌন হয়রানি করছে।
বিশেষ করে বিগত ছয় মাস আমাকে মারাত্মকভাবে যৌন হয়রানি করে। যার কারণে আমি এবছরের এপ্রিল মাসের ২৭ তারিখে পিএইচডি সুপারভাইজার হিসেবে প্রফেসর রুহুল আমিনের সঙ্গে কাজ না করার সিদ্ধান্ত নেই।
ওই নারী শিক্ষক আরও অভিযোগ করে বলেন, ‘তিনি থিসিসের কাজের জন্য আমাকে ডাকেন খুব সকালে তথা কাক ডাকা ভোরে বা বিকালে যখন ক্যাম্পাসে, বিভাগের কোন মানুষ থাকে না। এসময়গুলোতে তার চেম্বারে ডেকে দরজা-জানলা বন্ধ করে আকার ইঙ্গিতে, ইশারা ইঙ্গিতে ও তার ল্যাপটপে অশ্লীল, অাপত্তিকর, কুরুচিপূর্ণ ভিডিও দেখানো মাধ্যেমে আমাকে যৌন হয়রানি করেছেন।
তিনি আরো বলেন, ‘সর্বশেষ ২৭ এপ্রিল তারিখে তিনি আমাকে সন্ধ্যার পর তার বাসায় যেতে বলে, যার কারণে আমি বাধ্য হয়ে তার সঙ্গে গবেষণা কাজ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাকে সুপারভাইজার হিসেবে বাদ দেওয়ায় তিনি ক্ষুদ্ধ হয়ে অন্য শিক্ষকদের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে আমাকে নানাভাবে হয়রানি ও মানসিক নির্যাতন করছেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. রুহুল আমিন বলেন, ‘এটা মিথ্যা, বানোয়াট অভিযোগ। আমি অপরাজনীতির শিকার হয়েছি।