বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারিতে বর্তমানে নিষিদ্ধ অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট তারকা স্টিভ স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নারের শাস্তি শেষ হবে আগামী মাসে। তখনই তারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন। তবে এ পথে তাদের সামনে বাধা কনুইয়ের ইনজুরি। দুজনই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) খেলতে এসে অসমাপ্ত রেখেই চলে যান অস্ট্রেলিয়ায়।
দেশে ফিরে কনুইয়ের চোট থেকে মুক্তি পেতে তাদের যেতে হয়েছে ছুরির নিচে। ওয়ার্নার হয়তো আগামী মাসে আরব আমিরাতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে সুস্থ হয়ে খেলবেন, তবে স্মিথের অপেক্ষা বাড়তে পারে। এমনকি আগামী বিশ্বকাপেও হয়তো দেখা যাবে না তাকে!
বিশ্বকাপের পরই ইংল্যান্ডের মাটিতে উত্তাপের অ্যাশেজ সিরিজ। অ্যাশেজে স্মিথকে পূর্ণ ফিট পেতেই তাকে বিশ্বকাপে খেলানোর ঝুঁকি হয়তো নেবে না অজিরা। মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গারের কথাতেই এমন ইঙ্গিত ছিল।
অজি কোচ বলেন, ‘প্রথমে আমাদের দেখতে হবে তাদের চোটের কী অবস্থা। জাতীয় দলে ফেরার আগে তাদের কিছু ক্রিকেট খেলতে হবে। এটা অবশ্য সবই ম্যানেজমেন্টের ব্যাপার। আমরা অপেক্ষা করে দেখব কী হয়। সামনে ব্যস্ত সূচি। বিশ্বকাপের আগে আরব আমিরাতে ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে সিরিজ আছে, টি-টুয়েন্টি ম্যাচও আছে। এ অবস্থায় দলের জন্য যা ভালো হয় সেটাই করতে হবে আমাদের, বিশেষ কোনো ব্যক্তির অগ্রাধিকারের ব্যাপার নয়।’
তবে বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে সব শঙ্কাই উড়িয়ে দিয়েছে স্মিথ পক্ষ। তারা বলছে, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া তাকে ‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব’ কাজে ফিরিয়ে আনতে আগ্রহী।
স্মিথের ম্যানেজার ওয়ারেন ক্রেইগ বুধবার জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচারের পর সবকিছুই বেশ ‘ঠিকঠাকভাবে’ চলছে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এইউকে তিনি বলেন, ‘পুরো সময় না যাওয়া পর্যন্ত আমরা নিশ্চিতভাবে জানি না, তবে বর্তমান অবস্থা হল তিনি সাড়ে তিন সপ্তাহের সুস্থ হবেন (খেলার জন্য প্রস্তুত)। এর মানে হল আইপিএল, বিশ্বকাপের পর অ্যাশেজে খেলাই তার উদ্দেশ্য।’
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার একজন মুখপাত্র বলেছেন, ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে হাতের ব্যান্ডেজ সরিয়ে ফেলা হলে স্মিথের ফেরার বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে। স্টিভের সাথে আমরা কাজ করতে পারব, যাতে তিনি নিশ্চিত হন যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খেলায় ফিরে আসতে প্রস্তুত।