ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে আরো জাপানী বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার বিকেলে জাপানের বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রতিষ্ঠান জিরা (জেইআরএ) কোম্পানীর প্রেসিডেন্ট সাতশী ওনডার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এই আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং উন্নয়নমূলক কাজের সাথে সাথে বিদ্যুতের চাহিদাও দ্রুত বাড়ছে। কাজেই চাহিদা পূরণের জন্য আমাদের এই খাতে আরো বিনিয়োগ প্রয়োজন।
প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে জিরাসহ বিভিন্ন জাপানী কোম্পানী কর্তৃক বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং দেশের বিদ্যুৎ খাতের সম্প্রসারণে তার সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও উল্লেখ করেন। এসময় জিরা প্রেসিডেন্টও তার কোম্পানির নানা উদ্যোগ ও বিদ্যুৎ নিয়ে অগ্রগতির কথা প্রধানমন্ত্রীকে তুলে ধরেন।
তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, তাদের কোম্পানী জাপানে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। যা দেশের মোট চাহিদার শতকরা ৫০ শতাংশ।
“আমরা এই বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে সক্ষম হচ্ছি।”
সাতসি ওনডা রিলায়েন্স বাংলাদেশ পাওয়ার এবং এলএনজি কোম্পানীর যৌথ প্রকল্প সম্পর্কেও প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন, যেটি দেশের মেঘনা ঘাটে একটি ৭১৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছে।
এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ২০২২ সাল নাগাদ উৎপাদন শুরু হবে বলে জানান তিনি।
তারা ইতোমধ্যেই দেশের সামিট পাওয়ার লিমিটেডে’র সঙ্গে যৌথভাবে একটি ৩৩৫ মেগওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করেছে উল্লেখ করে জিরা সভাপতি বলেন, আমরা সামিটের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে আরো কয়েকটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করতে চাই।সামিট-জিরা মিতসুবিশি কনসোর্টিয়াম ইতোমধ্যে কক্সবাজারের মাতারবাড়িতে এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের জন্য সরকারের কাছে আগ্রহ প্রকাশ করে আগ্রহপত্র (ইওআই) জমা দিয়েছে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, পিএমও সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকী এবং সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহম্মদ আজিজ খান ।