চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

বিজয় মেলার এবারের স্লোগান ‘আমি বাংলাদেশ’

লাল সবুজকে ধারণ করে চ্যানেল আই। আর তাই প্রতি বছর বিজয় দিবস উপলক্ষে চ্যানেল আই প্রাঙ্গণ সেজে উঠে লাল-সবুজের রঙে। এবছর বিজয়ের ৪৮ বছর পূর্তিতে ‘আমি বাংলাদেশ’ স্লোগানকে ধারণ করে ১৬ ডিসেম্বর চ্যানেল আই চেতনা চত্বরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে অনুষ্ঠিত হবে ‘চ্যানেল আই বিজয় মেলা ২০১৯’।

এদিন সকাল ১১টা ৫ মিনিটে জাঁকজমকপূর্ণ এ মেলা’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন খেতাবধারী মুক্তিযোদ্ধারা, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী, চ্যানেল আই’র পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ দেশের গুণীজন।

অনুষ্ঠানটির বিস্তারিত জানাতে শনিবার চ্যানেল আইয়ের ছাদ বারান্দায় অনুষ্ঠিত হয় এক সংবাদ সম্মেলন।

যেখানে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং নাট্যব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, স্বাধীন বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ফকির আলমগীর, সংগীতশিল্পী ও সুরের ধারার প্রতিষ্ঠাতা রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, এফেয়ার্স হেড অব রেগুলেটরি এন্ড একটিং হেড অব কমিউনিকেশন গ্রামীনফোন-এর হোসেন সাদাত।

সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা ও শিল্পী, স্বাধীন বেতার কেন্দ্র ফফির আলমগীর প্রথমেই শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, প্রতি বছরের বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে চ্যানেল আই এই বিশেষ আয়োজন করে থাকে। যা দেশ ও জাতির জন্য খুবই ভাল একটি পদক্ষেপ। কারণ চ্যানেল আই বর্তমান প্রজন্মের সামনে তুলে ধরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা।

সংগীতশিল্পী এবং সুরের ধারার প্রতিষ্ঠাতা রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা বলেন, চ্যানেল আই বিজয় মেলা যাত্রার একদম শুরু থেকে আমি এবং আমার ‘সুরের ধারা’ যুক্ত রয়েছি। বিভিন্ন সময়ে নানান উৎসবে আমাদের একসাথে অনেক কাজ করা হয়েছে একে অন্যের সহযোগী হিসেবে। এবছরও তার ব্যতিক্রম হবে না। নাচ-গান, কবিতা সব মিলিয়েই এবারের উৎসবও সব মন ছুঁয়ে যাবে বলে আশা করছি।

বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং নাট্যব্যক্তিক্ত নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু বলেন, ‘বিজয় মেলা’র মতো আয়োজনকে আমি খুব গুরত্বপূর্ণ মনে করি। কারণ এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছি, তাদের সাথে এই প্রজন্মের তরুণদের সম্মিলন ঘটে। আমি মনে করি, এই মিথস্ক্রিয়ার মধ্য দিয়েই বাংলাদেশ একদিন কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে।

মুজিব বর্ষের আগে এবারের বিজয় দিবস উদযাপনকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ আখ্যা দিয়ে ফরিদুর রেজা সাগর বলেন, বঙ্গবন্ধুকে, বাংলাদেশকে এই প্রজন্মের কাছে নতুনভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করছি আমরা। যে বাংলাদেশকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করতে পারি, অনেক অহঙ্কার করতে পারি।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, লাল সবুজ মঞ্চ, তোরণ এবং ফেস্টুন-এ সুসজ্জিত থাকবে মেলা প্রাঙ্গণ। মেলার স্টলে থাকবে মুক্তিযুদ্ধের নানা দলিল, গ্রন্থমালা, আলোকচিত্র, মুক্তিযোদ্ধাদের ডায়েরি ও মুকাভিনয় পরিবেশনা। সেই সঙ্গে থাকবে নবীন-প্রবীন চিত্রশিল্পীরা।

মেলায় সংগীত পরিবেশন করবেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠযোদ্ধারা। এছাড়াও খ্যাতিমান সংগীত শিল্পী, চ্যানেল আই সেরা কণ্ঠ, ক্ষুদে গানরাজদের গান থাকবে। পরিবেশিত হবে চ্যানেল আই সেরা নাচিয়েদের নাচ। অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করবে চ্যানেল আই।