আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন: বিএনপির রাজনৈতিক উদারতা, জনগণের প্রতি কমিটমেন্ট ও দায়িত্বশীলতা শূন্যের কোটায় পৌঁছে গেছে, যা করোনাকালে মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে।
করোনা ও সাইক্লোনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে না গিয়ে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে বিএনপি সফল হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আজ সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে তাঁতী লীগ আয়োজিত শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন।
তিনি তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
তাঁতী লীগের সভাপতি ইন্জিনিয়ার মোঃ শওকত আলীর সভাপতিত্ব বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ডক্টর আবদুস সোবহান গোলাপ এবং তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবু খগেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথসহ অন্যন্য নেতৃবৃন্দ।
বিএনপি নেতিবাচক রাজনীতি চর্চার মাঝেও আসন্ন বাজেট নিয়ে ২৪ দফা ভাবনা তুলে ধরায় তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন: এ ভাবনার মাঝেও সরকারের সফলতা বা অর্জনের কোন একটি বাক্যও খুঁজে পেলাম না বিএনপি নেতাদের থেকে।
বিএনপি যত ইতিবাচক ভাবনাই ভাবুক, তারা তাদের সেই সংকীর্ণতার বৃত্ত থেকে আজও বের হতে পারেনি বলে জানান ওবায়দুল কাদের।
গত বাজেট বাস্তবায়নে শেখ হাসিনা সরকারকে পৃথিবীর অনেক দেশের মতো করোনার সংক্রমণে অভিঘাত মোকাবিলা করতে হয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন: সরকার অত্যন্ত দক্ষতার সাথে জীবন ও জীবিকার সমন্বয় করে অর্থনীতির চাকাকে সচল রেখেছে।
আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য তথা উৎপাদন ব্যবস্থাকেও সচল এবং গতিশীল রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি রাজস্ব আহরনের চাকা সচল রাখার মত চ্যালেঞ্জিং কাজ সরকার দক্ষতার সাথে চালিয়েছে এবং এ সময়ে ২২২৭ ডলার মাথাপিছু আয় বেড়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন: করোনার সংক্রমণ রোধ, চিকিৎসা অব্যাহত রাখা, টিকা সংগ্রহ, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির পরিধি বৃদ্ধি, রেমিট্যান্স প্রবাহে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি, রিজার্ভ সম্প্রসারণ ইত্যাদি সূচকে দেশের অর্থনীতির যে সক্ষমতা তা নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মুখে কোন প্রশংসা কিংবা বাস্তব অর্জনের কথা বলে না।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অর্থনীতির সংকোচনের কথা বলেছেন, এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন: তার আগেই তাদের আত্মিক সংকোচন ঘটে গেছে।
অতীতের ধারাবাহিকতায় আসন্ন বাজেট জনমানুষের প্রত্যাশা পূরণের পাশাপাশি সংকট মোকাবিলা এবং অর্থনীতিকে এগিয়ে নেওয়ার বহুমাত্রিক পরিকল্পনার অনন্য সমন্বয় ঘটবে বলে মনে করেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তাঁতী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন: তাঁতীদের সাথে যাদের সমন্বয় সম্পর্ক নেই তাদের তাঁতী লীগ করা যাবে না।
তাঁত শিল্পের বিকাশে তাঁতী লীগ কাজ করবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন: বিদেশের মাটিতে কেউ যেন তাঁতী লীগের দোকান না খুলতে না পারে সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৭৫ পরবর্তীকালে সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনীতিকের নাম। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের রোল মডেল। তিনি এখন একজন ব্যান্ড, এই ব্যান্ড আলো ছড়াচ্ছে বিশ্ব রাজনীতিতে।