বিএনপি ঘোষিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী ইশতেহার যুদ্ধাপরাধী-রাজাকারদের বাঁচানোর জন্য বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক।
তিনি বলেন: বিজয়ের মাসে ঘোষিত দলটির নির্বাচনী ইশতেহারে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষাবলম্বন করেছে। বিএনপির এই ইশতেহার নিবন্ধন বাতিল হওয়া রাজাকার ও আলবদরদের পোষণ ও পুনর্বাসনের ইশতেহার। তাদের ইশতেহার জামায়াতকে রাজনৈতিক বৈধতা দেয়ার ইশতেহার। যা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ বরাবরের মত চরম আঘাত। তাদের ইশতেহারে জনগণ হতাশ হয়েছে।
বুধবার ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
নানক বলেন: বিএনপির নির্বাচনী ইশতেহার দুর্নীতি, দুর্বৃত্তায়ন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দানের ইশতেহার। আমরা অতীতে দেখেছি বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশের অগ্রগতির বিভিন্ন সূচক নিম্নগামী হয়। প্রবৃদ্ধি কমে যায়। দুর্নীতিতে বাংলাদেশ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়।
দেশবাসী বিএনপির কল্পনাপ্রসূত ইশতেহার প্রত্যাখ্যান করবে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, দেশবাসী জানে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশে আবারও অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে।
দেশ হত্যা-সন্ত্রাস, সংখ্যালঘু নির্যাতন ও দুর্বৃত্তায়নের অভয়ারণ্যে পরিণত হবে। শিক্ষাঙ্গনে অস্ত্রের ঝনঝনানি বেজে উঠবে। এখন জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা কাদের নির্বাচনে বেছে নেবে।
বিএনপির চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা পুরোপুরি তুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি তরুণদের সঙ্গে প্রহসন দাবি করে নানক বলেন, তরুণদের যৌক্তিক দাবি বিবেচনা করে আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইশতেহারে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির কথা বলেছে ।
তিনি বলেন: বিএনপি তাদের ইশতেহারে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা পুরোপুরি তুলে দেওয়া যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তা বিভ্রান্তিকর ও মেধাবী তরুণদের সাথে প্রহসন মাত্র। সস্তা জনপ্রিয়তায় বিএনপির প্রতিশ্রুতি দেশের তরুণদের সঙ্গে প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই না। এতে করে দেশে বেকারকত্বের সংকট আরো বৃদ্ধি পাবে।
আওয়ামী লীগের ইশতেহারে জনগণকে উজ্জীবিত উল্লেখ করে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন: আওয়ামী লীগ ঘোষিত ইশতেহারে দেশের তরুণ প্রজন্মসহ সব বয়সী মানুষ বেশ খুশি ও উজ্জীবিত।
আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা দেশের মেধাবীদের মেধা, যোগ্যতা ,সক্ষমতা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে একটি উন্নত সমৃদ্ধির দেশে পরিণত করতে চান। তাই ইশতেহারে আমাদের অঙ্গীকার ঘটছে তারুণ্যের শক্তি বাংলাদেশের সমৃদ্ধি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম সম্পাদক আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সবুর, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, উপ- দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য মারুফা আক্তার পপিসহ অনেকে।