বিতর্কিত বাবরি মসজিদ-রাম জন্মভূমির জমি সংক্রান্ত অযোধ্যা মামলার জট খুলতে সুপ্রিম কোর্টের তৈরি করা মধ্যস্থতা প্যানেল যে প্রস্তাব দিয়েছে, তাতে হিন্দু-মুসলিম দু’পক্ষেরই জয় হবে বলে জানিয়েছেন সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের আইনজীবী।
সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের আইনজীবী শাহিদ রিজভি বলেন, আমরা মধ্যস্থতাকারী প্যানেলকে আমাদের মতামত দিয়েছি, তবে আদালতে জমা দেওয়া মধ্যস্থতার বিস্তারিত পরিকল্পনা আগেই জানাতে পারি না।তবে পরিকল্পনাটা সবার জন্যই ইতিবাচক, হিন্দু ও মুসলিম উভয়ই খুশি হবে।
এই মধ্যস্থতায় দু’পক্ষই খুশি হবে কিনা, সেই প্রশ্নের উত্তরে আইনজীবী শাহিদ রিজভি এনডিটিভিকে বলেন, হিন্দু ও মুসলিম দুপক্ষেরই জয়ের মতো পরিস্থিতি।
এনডিটিভি জানায়, উত্তরপ্রদেশে মন্দির-মসজিদ নিয়ে সংকট তৈরি হওয়া জায়গার দাবি ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড এবং জায়গাটি রামন্দিরের জন্য সরকার নিলে তাদের কোনও আপত্তি নেই, সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া রিপোর্টে এমনটাই জানিয়েছে মধ্যস্থতাকারী প্যানেল।
বাবরি মসজিদের জায়গাটি ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাবের পাশাপাশি ওয়াকফ বোর্ড জানিয়েছে, অযোধ্যায় যে সমস্ত মসজিদ রয়েছে, সেগুলোর সংস্কার করবে সরকার। অন্য যে কোনও জায়গায় মসজিদ তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে ওয়াকফ বোর্ড। ফলে ১৩৪ বছরের রাম মন্দির-বাবরি মসজিদ নিয়ে এর ফলে জট কাটতে পারে।
মধ্যস্থতাকারীদের চেষ্টার বিস্তারিত এমন দিনে প্রকাশ হয়, যেদিন সুপ্রিম কোর্ট তার দৈনিক শুনানি শেষ করে এবং মন্তব্য করে, ‘যথেষ্ঠ হয়েছে’।
হিন্দু এবং মুসলিম দুই পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, জমিতে ১৬ শতকের নির্মাণ করা বাবরি মসজিদ ছিল। ১৯৯২-এ হিন্দু কর্মীরা সেটি ভেঙে দেন। হিন্দুদের দাবি, ভগবান রামচন্দ্রের জন্মভূমি হিসেবে জায়গাটিতে যে রামমন্দির ছিল, তার ভগ্নাবশেষের ওপরেই সেই মসজিদ গড়ে তোলা হয়েছিল।
মধ্যস্থতাকারী প্যানেলে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এফএম কালিফুল্লাহ, আধ্যাত্মিক গুরু শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর, এবং বর্ষীয়ান আইনজীবী শ্রীরাম পাঞ্চু। মার্চে তারা বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন এবং রিপোর্ট জমা দেন।
বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পরে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনায় সারা ভারতে ২ হাজারের বেশি মানুষ মারা গিয়েছিল।