পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম ফুলবাগান নেদারল্যান্ডসের কুকেনহফ। স্বর্গীয় সৌন্দর্যে ভরপুর ফুলের ওই রাজ্য বছরে দু’মাস উন্মুক্ত থাকে পৃথিবীর পর্যটকদের জন্য। বাণিজ্য ও শিল্পের ইতিহাসেও ফুলের ওই উদ্যান পৃথিবীতে অনন্য।
ওলন্দাজদের চেনা যায় সৌখিনতা আর সৌন্দর্যে। দিগন্ত জোড়া ফুটন্ত টিউলিপই বলে দেয় দেশটির নাম নেদারল্যান্ডস। সেখানে রয়েছে টিউলিপের হাজারো রঙে সাজানো এক ভূস্বর্গ ‘কুকেনহফ’। যেখানেই ফুলই যেনো কথা বলছে সারা পৃথিবীর মানুষের সঙ্গে, তার পবিত্র ভাষায়। এক টিউলিপই ধারণ করে আছে প্রায় চারশো বছরের ইতিহাস। চীন থেকে অস্ট্রিয়া হয়ে সৌন্দর্যের রাজাদের মন ছুঁয়ে আসন গেঁড়েছে নেদারল্যান্ডসে।
নেদারল্যান্ডসের ট্যুর গাইড প্যাট্রেসিয়া জানালেন, টিউলিপের যাত্রা শুরু হয়েছিলো এশিয়ার চীন থেকে। বিখ্যাত ডার্চ বোটানিস্ট কাস কুসিয়াস ১৯৫৩ সালে টিউলিপের ফ্লাওয়ার বাল্প সংগ্রহ করেছিলেন তার বন্ধু অস্ট্রিয়া রাষ্ট্রদূতের কাছ থেকে। অস্ট্রিয়া রাষ্ট্রদূত যা পেয়েছিলেন তৎকালীন তুর্কির সুলতান সোলেইমান’র কাছ থেকে।
এখন টিউলিপ মানেই নেদারল্যান্ডস। টিউলিপ মানে ৫’শ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য।
নেদারল্যান্ডসে কুকেহফ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক বার্ট সিমেরিংক জানান, পৃথিবীর যতো ফুল ব্যবহার হয় তার ৬০ ভাগ একক ভাগে সরবরাহ করে নেদারল্যান্ডস। আর কুকেহফ হচ্ছে নেদারল্যান্ডসের ফুল বাণিজ্য ও ফুল কেন্দ্রিক সৌন্দর্যের কেন্দ্রভূমি।
সৌন্দর্য রাঙ্গাতে পারে মন। আর তা যদি হয় ফুলের, তা পারে জীবনের সংজ্ঞাও বদলে দিতে। এমন গভীর চিন্তাই নেদারল্যান্ডসের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও রাখছে বড় ভূমিকা।