ভোঁতা কোনো জিনিস যেমন, বাঁশ বা স্ট্যাম্প দিয়ে দীর্ঘ সময় আঘাত করায় আবরার ফাহাদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. মো. সোহেল মাহমুদ।
রোববার রাত ৮টার দিকে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে শিবির সন্দেহে সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয়তলা থেকে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আবরার ওই হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন, ১০১১ নম্বর রুমে থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া।
জানা যায়, সন্ধ্যা সাতটা থেকে আটটার মধ্যে রুম থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় আবরারকে। রাত দুইটার সময় তার লাশ পাওয়া যায় একতলা আর দুইতলার মাঝের স্থানে।
সোমবার ডা. মো. সোহেল পরীক্ষা করে জানান: হাতে, পায়ে ও পিঠে আঘাতের স্থানে রক্তক্ষরণ ও তীব্র ব্যথাতেই আবরারের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে বুয়েটের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. মাসুক এলাহী চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন: রোববার রাত ৩টার দিকে ছাত্রদের মাধ্যমে খবর পেয়ে শেরেবাংলা হলের প্রথম ও দ্বিতীয় তলার মাঝামাঝি জায়গায় ফাহাদকে পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। তখন তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
আবরারের শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানান এই চিকিৎসকসহ চকবাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. দেলোয়ার হোসেন।
আবরার হত্যায় এ পর্যন্ত একাধিক ছাত্রলীগ নেতার নাম উঠে এসেছে। ছাত্রলীগ নেতারা গণমাধ্যমের কাছে যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে যাদের নাম এসেছে তাদের মধ্যে আছেন বুয়েট ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার, উপ দপ্তর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ, উপ-সমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, উপ-আইন সম্পাদক অমিত সাহা এবং সহ-সম্পাদক আশিকুল ইসলাম বিটু।