দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় দেশের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির মোকাবেলায় বন্যা কবলিত জেলার মানুষের জন্য এ পর্যন্ত ৩ কোটি ১৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।
এছাড়াও ২১ হাজার ৩৫০ মেট্রিকটন চাল, ৮৪ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার এবং সাড়ে ৭ হাজার তাঁবু সেট বরাদ্দ করা হয়েছে।
ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স কো-অর্ডিনেশন সেন্টারের (এনডিআরসিসি) দুর্যোগ সংক্রান্ত দৈনিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, বান্দরবানে ১৩৫টি, লালমনিরহাটে ১২টি, সিলেটে ৮০টি, গাইবান্ধায় ৯৫টি, হবিগঞ্জে ৮টি, নেত্রকোণায় ১৫০টি, খাগড়াছড়িতে ১৯৫টি, কুড়িগ্রামে ৪০৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এর মধ্যে বান্দরবানে ১০ হাজার জন, খাগড়াছড়িতে ৮৯২ জন, নেত্রকোণায় ১৫০ জন, হবিগঞ্জে ৬১টি পরিবার, কুড়িগ্রামে ৩ হাজার ৮৪০ জন, গাইবান্ধায় ১১ হাজার ২৫০ জন মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গঠিত হেলথ ইমার্জেন্সী অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সহকারি পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার জানান: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দেশের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির মোকাবেলায় বন্যা কবলিত জেলার মানুষকে স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ১ হাজার ৩৬৮টি মেডিকেল টিম গঠন করেছে।
বন্যার সময় এবং পরিবর্তি সময়ের প্রস্তুতির বিষয়ে আয়শা আক্তার বলেন: সংশ্লিষ্ট সব জেলা এবং উপজেলার মেডিকেল সাব-ডিপো ও জেলা রিজার্ভ স্টোরগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ আইভি ফ্লুইড (শিরায় দেয়ার স্যালাইন), খাবার স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ বড়ি, হার্টম্যান’স স্যালাইন, এন্টিবায়োটিক, এন্টি স্নেক ভেনম ও অন্যান্য ঔষধ মজুদ আছে।
এছাড়াও সিএমএসডিতে ২০ শতাংশ অতিরিক্ত ওষুধ মজুদ আছে বলেও জানান তিনি।