প্রকৃতি ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণবাদী সংস্থা ও ব্যক্তিকে জাতীয়ভাবে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে তিনটি ক্যাটাগরিতে ‘বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ড লাইফ কনজারভেশন’ প্রদানের জন্য দুই ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্তভাবে মনোনীত করা হয়েছে।
আজ রোববার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বন্যপ্রাণী উপদেষ্টা বাের্ডের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কাজে নিয়ােজিত কর্মকর্তা, খ্যাতিমান গবেষক, বিজ্ঞানী, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণবাদী ব্যক্তি ও গণমাধ্যম কর্মী/ব্যক্তিত্ব ক্যাটাগরিতে পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বন সংরক্ষক এবং ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন), বাংলাদেশের প্রাক্তন কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ ইশতিয়াক উদ্দিন আহমদ মনোনীত হয়েছেন।
এছাড়াও বন্যপ্রাণী বিষয়ক শিক্ষা ও গবেষণা ক্যাটাগরিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মােহাম্মদ ফিরােজ জামান এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে নিবেদিত প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলার ১২নং নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নের আশুরহাট পাখি সংরক্ষণ সমিতি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে।
প্রতিটি শ্রেণিতে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানকে ২ ভরি (২৩.৩২ গ্রাম) ওজনের স্বর্ণের বাজারমূল্যের সমপরিমাণ নগদ অর্থ ও ৫০ হাজার টাকার অ্যাকাউন্প পেইয়ি চেক প্রদান করা হবে। আগামী জুন মাসে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিতব্য বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পুরস্কার ও সনদ তুলে দেওয়া হবে।
সভায় মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, বিভিন্ন অবিবেচনাপ্রসূত কাজের ফলে শুধুমাত্র বন্যপ্রাণী বিলুপ্ত হচ্ছে তা নয়, প্রাকৃতিক ভারসাম্যও বিঘ্নিত হচ্ছে এবং প্রতিবেশগত বিপর্যয় সৃষ্টি হচ্ছে। বন্যপ্রাণীর প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শন ও সংরক্ষণে অধিকতর গুরুত্ব প্রদানের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ) আইন জারি করেছিলেন। বর্তমান সরকার বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে আন্তরিকভাবে কাজ করছে। এ কাজে আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, সচিব জিয়াউল হাসান, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) আহমদ শামীম আল রাজী, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মো. মিজানুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) মো. মনিরুজ্জামান, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. এ. কে. এম রফিক আহাম্মদ, বন অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরী, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু এবং আইইউসিএন-এর কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ রাকিবুল আমীন।