চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশী কার কত টাকা, জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট

বাংলাদেশী কার কত পরিমাণ টাকা সুইস ব্যাংকে আছে, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

এছাড়া পাচার করা টাকা ফিরিয়ে আনতে সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

এসংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট রোববার রুলসহ এ আদেশ দেন।

আদালত তার রুলে বিদেশি ব্যাংক বিশেষ করে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশের নাগরিক অথবা কোম্পানি এবং অন্য কোনো সত্ত্বার গোপনে গচ্ছিত টাকা উদ্ধারে বিবাদিদের নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, জানতে চেয়েছেন।

এছাড়া পানামা পেপার ও প্যারাডাইস পেপারে বাংলাদেশি যেসব নাগরিক ও কোম্পানির নাম এসেছে, তাদের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না এবং সে তদন্তের অগ্রগতি প্রতি মাসে আদালতকে জানাতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।

সেই সঙ্গে বাংলাদেশি কোনো নাগরিক অথবা কোম্পানি বা অন্য কোনো সত্ত্বার অর্থপাচার, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থায়নের বিষয় নিরীক্ষণ, পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণে একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠনের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, রুলে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

অর্থ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, বাণিজ্য সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, ডেপুটি গভর্নর, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান, যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরের রেজিস্ট্রার ও পুলিশ প্রধানকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এবং আগামী ৩০ মার্চ এবিষয়ে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম খান। দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

বিদেশি ব্যাংক বিশেষ করে সুইস ব্যাংকে পাচার করা অর্থ উদ্ধারের যথাযথ পদক্ষেপের নির্দেশনা চেয়ে গত ১ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে এই রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাস। সুইস ব্যাংকে রাখা বাংলাদেশি নাগরিকদের টাকা নিয়ে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে এই রিট করা হয়।