ফেসবুক মজার যায়গা। নিউজফিড স্ক্রল করে কাটিয়ে দেয়া যায় সারাদিন। তার উপর নানা রকম মজার মজার কুইজ খেলে জানাও যায় যে কবে আপনার বিয়ে হচ্ছে, আগামী বছর কোথায় ঘুরতে যাচ্ছেন কিংবা আপনার ব্যক্তিত্ব কেমন সেই সম্পর্কে। বিশ্বাস না করলেও শেয়ার দিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নিতে তো আর দোষ নেই। তাই রীতিমতো কুইজ আসক্ত হয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু, এই ফেসবুক কুইজগুলোর কারণেই হারিয়ে ফেলতে পারেন এত বছরের স্মৃতি ধরে রাখা প্রিয় ফেসবুক একাউন্টটি।
কুইজগুলো খুব আকর্ষণীয় হয়। মজার মজার এসব কুইজ পাওয়া যায় নিউজফিডেই। বন্ধুদের দেখাদেখি লিঙ্ক এ ঢুকে এসব কুইজ খেলার প্রতি আগ্রহ জন্মানোটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সাবধানে ফেসবুক ব্যবহার না করলে খুব সহজেই আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চলে যেতে পারে হ্যাকারদের হাতে। এমনকি ফেসবুকের একাউন্টটাও হারিয়ে ফেলতে হতে পারে। এনবিসি নিউজের একটি রিপোর্টে এমনটাই বলা হয়েছে।
জানানো হয়েছে, হ্যাকাররা ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেয়ার জন্য এসব কুইজ তৈরি করে। ফেসবুক কুইজ-পাগলরা সব শর্ত মেনে নিয়ে এসব লিঙ্কে ঢোকার কারণে ভাইরাস বা ম্যালওয়ারের কবলে পড়তে পারেন। একারণে আপনার অজান্তেই অপ্রীতিকর ম্যাসেজও চলে যেতে পারে বন্ধুদের ইনবক্সে। কুইজ শেষ করার জন্য যে শর্তে ব্যবহারকারীরা রাজি হচ্ছেন আপনার ইমেইল অ্যাড্রেস, প্রোফাইল, বন্ধুদের তালিকা, টাইমলাইন পোস্ট, ছবি ব্যবহারের অনুমতি দিতে হচ্ছে অধিকাংশ ক্ষেত্রে।
ফেসবুক স্ক্যাম থেকে নিজেকে বাঁচানোর সবচাইতে ভালো উপায় হলো ট্রাস্টেড লিঙ্কগুলোতে ক্লিক করা। আবার কোনো বন্ধু শেয়ার করেছে বলে বিশ্বাস করে সেই লিঙ্কে ঢুকে পড়বেন না। সন্দেহজনক মনে হলে ভুলেও ক্লিক করবেন না। এছাড়াও যেসব ওয়েবসাইটে ইমেইল আইডি বা ফেসবুক এর মাধ্যমে লগ ইন করার জন্য বাধ্য করে থাকে, সেগুলো এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ। যে কোনো কুইজে ঢোকার আগে শর্তগুলো পড়ে নিন।
নিরাপদ থাকতে ফেসবুকে যেসব এপ্লিকেশন ব্যবহার করা হচ্ছে না সেগুলো ডিলিট করে ফেলুন। এছাড়াও এলার্ট চালু করে রাখুন যেন নতুন কোনো ডিভাইস থেকে আপনার একাউন্টে লগ ইন হলে নোটিফিকেশন চলে আসে। এ ব্যাপারে বন্ধুদেরও সাবধান করে রাখুন। রিডার্স ডাইজেস্ট