অলিখিত সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে ৩৭ রানে হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। ২০১৬ সালের মতো পাকিস্তানকে বিদায় করেই আবারও ফাইনালে টাইগাররা। ম্যাচ জেতার কৃতিত্ব বোলারদের দেয়ার পাশাপাশি অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা বলেছেন, বাংলাদেশের ফিল্ডিংয়ের জন্য গর্বিত তিনি। শুক্রবারের ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে লাল-সবুজের দল।
ম্যাচে মুশফিক ও মিথুনের ব্যাটে চেপে ২৩৯ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। জবাবে ২০২ রানে থামে পাকিস্তানের ইনিংস। অধিনায়ক মাশরাফী কোনো উইকেট পাননি। তবে প্রায় আট ফুট লাফিয়ে শোয়েব মালিকের যে ক্যাচটি নিয়েছেন তা বাংলাদেশিসহ বিশ্বের দর্শকদের চোখে দীর্ঘদিন লেগে থাকবে। আর পাকিস্তানের ব্যাটিং ধসিয়ে দিতে ৪ উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজ। ভালো বোলিং করেছেন মিরাজ, মাহমুদউল্লাহ, রুবেল সবাই। এমনকি সৌম্য সরকারও পেয়ে গেছেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেট।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে দাঁড়িয়ে বোলারদের কৃতিত্ব দিলেন মাশরাফী। বলেছেন, ‘আমরা আজ(বুধবার) কিছুটা ভিন্ন কৌশল খাটিয়েছি। সাধারণত আমি বল শুরু করি, কিন্তু আজ(বুধবার) আমরা মিরাজকে দিয়ে শুরু করেছি। বোলাররা দারুণ বল করেছে।’
এছাড়া ৯৯ রান করে দলকে বিপদ থেকে টেনে তোলার জন্য মুশফিক ও ৬০ রান করে বড় ভূমিকা রাখা মোহাম্মদ মিথুনের কথা বলতেও ভোলেননি নড়াইল এক্সপ্রেস। বলেছেন, ‘মুশফিক আর মিথুন সত্যিই দারুণ ব্যাটিং করেছে।’
ম্যাচে দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ের কথাও বলতে ভুললেন না টাইগার অধিনায়ক। মাশরাফী নিজেই ‘বাজপাখির’র মতো ডাইভ দিয়ে অসাধারণ ক্যাচ ধরেছেন শোয়েব মালিকের। রুবেল হোসেনও লাফিয়ে উঠে ক্যাচ নিয়েছেন। মাঠে ফিল্ডারদের দারুণ ভূমিকার কথা বলতে গিয়ে ম্যাশ বলেছেন, ‘আমাদের ফিল্ডিং নিয়ে আমরা আজ গর্ব করতে পারি। অনেকদিন ধরেই এমন ভালো ফিল্ডিং দেখিনি। তাই আশা করি ছেলেরা ভালো ফিল্ডিংয়ের গুরুত্ব বুঝতে পারবে। আমাদের ব্যাটিং আর বোলিংয়ে কিছুটা উন্নতি করতে হবে। আমি ভাগ্যবান যে আমি ক্যাচটা মিস করিনি, কারণ শোয়েব মালিক দারুণ ফর্মে ছিল, কিন্তু সবমিলিয়ে ফিল্ডিং দুর্দান্তই হয়েছে।’