বাংলাদেশের প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে এ বছরই ভারতের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেন ফারজানা হক পিংকি। মিরপুরে ইতিহাস গড়ার পর দেশের জার্সিতে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পেতে লাগল মোটে ৫ ম্যাচ। সাউথ আফ্রিকা সফরে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১০২ রানের ইনিংস খেলে দলকে এনে দেন ভালো সংগ্রহ। কিন্তু বোলিং ব্যর্থতায় ২২২ রানের পুঁজিও সামান্য হয়ে পড়ে। নিগার সুলতানা জ্যোতির দলকে ৮ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে (১-১) সমতায় ফিরেছে প্রোটিয়া মেয়েরা।
পচেফস্ট্রুমে বুধবার ৪৫.১ ওভারে ২ উইকেটে হারিয়েই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা। শনিবার বেনোনিতে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডে।
সাউথ আফ্রিকা ওপেনিং জুটিতে শতরান পেরিয়ে যায়। জোড়া উইকেট পড়লেও আবার জুটি জমে যায়। সিরিজে সমতায় ফেরার ম্যাচে বাংলাদেশকে কোনোরকম সুযোগই দেয়নি তারা।
প্রোটিয়া অধিনায়কলৌরা উলভার্ডট (৫৪) ও তাজমিন ব্রিটস (৫০) ফিফটি ছুঁয়ে আউট হন। দুজনই দলীয় ১০৬ রানে নিজেদের উইকেট দেন।
২৫তম ওভারের শেষ বলে প্রথম আঘাতটি হানেন মিডিয়াম পেসার রিতু মনি। ২৬তম ওভারের প্রথম বলে উইকেট পান লেগ স্পিনার ফাহিমা খাতুন।
পর পর দুই বলে উইকেট হারালেও আরেকটি বড় জুটি গড়ে ফেলে সাউথ আফ্রিকার মেয়েরা। আন্নেকে বোস ৬৫ ও সুনে লুউস ৪৭ রানে অপরাজিত থেকে ২৯ বল আগেই এনে দেন ৮ উইকেটের দুর্দান্ত জয়।
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে বড় জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। দ্বিতীয়টিতেও ব্যাট হাতে খারাপ করেনি নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। ফারজানা হকের দুরন্ত সেঞ্চুরিতে লড়াইয়ের পুঁজি পায় তারা। জাগে সিরিজ নিজেদের করে নেয়ার আশা।
পচেফস্ট্রুমে টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটে আমন্ত্রণ জানান প্রোটিয়া অধিনায়ক লৌরা উলভার্ডট। ব্যাটে নেমে নির্ধারিত ওভার শেষে ৪ উইকেটে ২২২ রানের সংগ্রহ গড়ে টিম টাইগ্রেস।
দারুণ সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার শামীমা সুলতানা ও ফারজানা হক। উদ্বোধনী জুটিতে ৪৮ রান তোলেন তারা। ১২.৪ ওভারে শামীমা ফিরে যান ৩৮ বলে ২৮ রানে। দ্বিতীয় উইকেট জুটিটা অবশ্য খুব একটা বড় হয়নি টাইগ্রেসদের। ১৩ বলে ৮ রান করে দলীয় ৬৩ রানে ফিরে যান গত ম্যাচে ৯১ করা মুর্শিদা হক।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতিকে নিয়ে ৫৮ রান তোলেন ফারজানা হক। ৩১.১ ওভারে দলীয় ১২১ রানে জ্যোতি ফিরে যান। ৩৩ বলে ১৩ রান করেন টাইগ্রেস অধিনায়ক।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৯৩ রান তোলেন ফারজানা ও ফাহিমা খাতুন। ১৬৫ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ফারজানা। ছিল ১১টি চারের মার। ইনিংসের চার বল বাকী থাকতে দলীয় ২১৪ রানে রানআউট হয়ে ফিরে যান ফারজানা। করেন ১৬৭ বলে ১০২ রান।
এরপর স্বর্ণা আক্তারকে নিয়ে ইনিংস শেষ করেন ফাহিমা। ৪৮ বলে ৪৬ রানে অপরাজিত ছিলেন ফাহিমা, স্বর্ণা ৩ বলে ৬ রানে। প্রোটিয়াদের হয়ে মারিজানে ক্যাপ দুটি ও মাসাবাতা ক্ল্যাস এক উইকেট নেন।