চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

ফাইনালে কেন বারবার একই ফল?

এশিয়া কাপের ফাইনাল হারের অভিজ্ঞতা দুইবার হয়েছে বাংলাদেশ দলের। সেপ্টেম্বরে ভারতের বিপক্ষে যুব এশিয়া কাপের ফাইনাল জিততে পারেনি অনূর্ধ্ব-১৯ দল। এবার ঘরের মাঠে ইমার্জিং এশিয়া কাপের শিরোপাও হাতছাড়া। কাছে গিয়ে বারবার ব্যর্থ হচ্ছে টাইগার ক্রিকেট। অধরাই থেকে যাচ্ছে বড় আসরের ট্রফি।

ইমার্জিং কাপে ফাইনালে নামার আগে চার ম্যাচেই অনায়াস জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ‘ফেভারিট’ তকমা নিয়ে শনিবার শিরোপার লড়াইয়ে নামা দলটিকে পাকিস্তানের সামনে ব্যাটে-বলে দেখা গেল বিবর্ণ। শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের কাছে ৭৭ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে স্বাগতিক দল।

ফাইনাল হারের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ইমার্জিংয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেছেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে না পারাই নেতিবাচক ফলাফল উপহার দিয়েছে।

‘আমার কাছে যেটা মনে হয়, বড় ম্যাচে আমরা যে পরিকল্পনা করি সেটি অনুযায়ী যদি খেলতে পারি জেতা সম্ভব। আরেকটু রিল্যাক্স থাকা উচিত ছিল আমাদের। ফিল্ডিংয়ে দেখেছি বেশ কয়েকটা ক্যাচ মিস হয়েছে বা বোলিংয়ে মাঝখানে কিছু ওভার পরিকল্পনা অনুযায়ী করতে পারিনি। আবার আমাদের ব্যাটিংয়ে বড় পার্টনারশিপ হয়নি। যদি নরমাল ম্যাচের মতো স্থির থাকতে পারি, তাহলে ফাইনালে ভালো ফলাফল সম্ভব।’

৩০২ রানের বড় লক্ষ্য থাকলেও সেটি তাড়া করে জেতা সম্ভব জেনেই ব্যাটিংয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ। উইকেট ধরে রেখে খেলার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু সৌম্য সরকার (৬ বলে ১৫) ও নাঈম শেখ (১৭ বলে ১৬) বেশি দ্রুত রান তুলতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে আসেন। শুরু ভালো না হওয়ার প্রভাব দেখা যায় মিডলঅর্ডারের ব্যাটিংয়ে। বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ২২৪ রানে।

দলীয় পরিকল্পনার বাইরে গিয়ে ব্যাটসম্যানদের তাড়াহুড়ায় আক্ষেপ ঝরল অধিনায়কের কণ্ঠে। হারের পেছনে শান্ত দায়ী করলেনে এটিকেই।

‘পরিকল্পনা ছিল উইকেট হাতে রাখব। যেহেতু উইকেট ভালো ছিল, শেষ ১০ ওভারে যদি ১০০ রানও লাগতো তাও চেজেবল ছিল। পরিকল্পনা ছিল উইকেট হাতে রেখে আগানো। ওটা হয়নি দেখেই রেজাল্ট নেগেটিভ আসছে।’

‘যদি শুরুটা ভালো হতো পরের ব্যাটসম্যানদের জন্য সহজ হতো। উইকেট যেরকম ছিল তাতে বড় একটা পার্টনারশিপ যদি হতো, ওখান থেকে ম্যাচ জেতা সম্ভব ছিল।’