জিম্বাবুয়ের ২৯০ রান তাড়া করে শ্রীলঙ্কা জিতবে কি না, সে প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার আগে একটি কথা বলাই যায়, হাথুরুসিংহে তার একটি ‘পছন্দের কৌশলে’ প্রথম ম্যাচে এতটুকু সুবিধা করতে পারেননি।
রিস্ট স্পিনারদের (বিশেষ করে লেগ স্পিন) প্রতি হাথুরুসিংহের সবসময় আলাদা একটি আগ্রহ আছে। কখনো কখনো বাংলাদেশের সাবেক কোচের ওই আগ্রহ মমত্ববোধ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। যেমনটা হয়েছিল বাংলাদেশের জুবায়ের হোসেন লিখনের ক্ষেত্রে। হাতের কাছে এই ধরনের স্পিনার থাকলে তাদের নিয়ে ম্যাচের কৌশল সাজাতে খুব একটা চিন্তা-ভাবনা করেন না হাথুরু। ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের প্রথম ম্যাচেও সেটা করেছেন। রিস্ট স্পিনার (লেগ স্পিন) ভানিডু হাসারাঙ্গাকে রাখেন একাদশে।
তাকে দিয়ে বুধবার মাত্র তিন ওভার বল করান ম্যাথুজ! কোনো উইকেট নেই। রান দিয়েছেন ১৮।
স্পিনারদের সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা হয়, ফিঙ্গার স্পিনার এবং রিস্ট স্পিনার। যারা আঙুলের ওপর নির্ভর করে বল ঘোরান, তাদের ফিঙ্গার স্পিনার বলা হয়। আর যারা কব্জির কারুকার্যে বল ছাড়েন তাদের বলা হয় রিস্ট স্পিনার। ডানহাতি লেগ স্পিনার এবং বাঁহাতি অফস্পিনাররা এই ক্যাটাগরির ভেতর পড়েন।
হাথুরুসিংহের হাতে একজন অফস্পিনার ছিলেন, লক্ষ্মণ সান্দাকান। তিনিও রিস্ট স্পিনার। অবাক করার বিষয় হল তাকে প্রথম ম্যাচে দলে রাখেননি। অফস্পিনার হওয়ায় বলেই হয়তো হাথুরু তাকে পছন্দের কৌশলে রাখেননি।
কিন্তু ইতিহাস বলছে বাঁহাতি অফস্পিনাররা সবসময় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ভালো করে। কারণ এই দলে বেশ কয়েকজন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। প্রথম ম্যাচই তার প্রমাণ। বাংলাদেশের সাকিব আল হাসানকে খেলতে হিমশিম খেয়েছে দলটির ব্যাটসম্যানরা।