ঢাকার একটি ছাত্রীনিবাসের সামনে থেকে জোর করে প্রাইভেট কারে তুলে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণ শেষে ছাত্রীটিকে পুনরায় হোস্টেলের সামনে ফেলে যায় ধর্ষণকারীরা।
খবর পেয়ে ছাত্রীটির মা-বাবা তাঁকে নিজ এলাকা মানিকগঞ্জের একটি হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। গত শনিবার এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় মানিকগঞ্জের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। ধর্ষিত ছাত্রীর বাড়ি মানিকগঞ্জে। তিনি ঢাকায় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী। গ্রেপ্তারকৃত যুবকের নাম আশেকুর রহমান সবুজ। সে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ঘুনা গ্রামের জহির হোসেনের ছেলে।
ধর্ষণের শিকার ছাত্রী জানায়, গত শনিবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকায় তাঁর হোস্টেলের সামনে থেকে সবুজ ও হাসান নামের দুই যুবক জোর করে তাঁকে একটি প্রাইভেট কারে তুলে নেয়। এরপর তাঁর চোখ, মুখ ও হাত-পা বেঁধে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় বাধা দেওয়ায় তাঁকে বেদম মারধর করা হয় এবং জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলে। এরপর বিকেল ৪টার দিকে তাঁকে আবার হোস্টেলের সামনে নামিয়ে দেয়।
মেয়েটির মা ও বাবা জানান, খবর পেয়ে গত রবিবার গুরুতর আহত অবস্থায় মেয়েকে হোস্টেল থেকে এনে মানিকগঞ্জের একটি হাসপাতালে ভার্তি করেন।
পরে তাঁরা মানিকগঞ্জ সদর থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। মেয়েটির বাবা অভিযোগ করেন, মেয়ের মোবাইল ফোনে বিভিন্ন সময় অশ্লীল ভাষায় মেসেজ দিয়ে বিভিন্ন হুমকি দিত সবুজ।
মানিকগঞ্জ সদর থানার এসআই খায়রুল ইসলাম জানান, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিকেল ৩টার দিকে সবুজকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কিছু আলামতও পাওয়া গেছে সবুজের কাছ থেকে। তিনি জানান, হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে। অভিযুক্ত গাড়িচালক হাসানকে আটক করার চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন।