চারিদিকে শুধু প্যারাসাইটের জয়জয়কার। একটানা অনেকগুলো অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে রীতিমতো হাঁপিয়ে গেছেন বং জুন হো।
অস্কারে চারটি পুরস্কার জিতে দক্ষিণ কোরিয়া ফেরার পর নতুন কোনো কাজ শুরু করেননি এই নির্মাতা। জানিয়েছেন, তিনি ক্লান্ত। তাই নতুন স্ক্রিপ্ট নিয়ে কাজ শুরু করতে পারেননি।
বং জুন হো বলেন, ‘অবশেষে আমার সময় হলো কাজে ফেরার। কিন্তু আমি হাঁপিয়ে গেছি, মানসিক এবং শারীরিকভাবে। আমি এখন শুধু একটা মানব-খোলস।’
বং জুন হো’র হাতে এখন দুটি ছবি আছে। ২০১৬ সালের একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে ইংরেজি হিস্টোরিক্যাল ড্রামা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ভাষায় নির্মিতব্য হরর অ্যাকশন ছবি। বং জুন হো জানিয়েছেন, একসঙ্গে দুটি কাজ তিনি করতে পারেন না। একটি শেষ হলে আরেকটির কাজ শুরু করবেন তিনি।
অস্কারের ইতিহাসে প্রথম কোনো এশীয় ছবি হিসেবে তোলপাড় ফেলে দিয়েছে কোরিয়ান ছবি ‘প্যারাসাইট’। ছবিটি পুরস্কৃত হয়েছে চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে। বিদেশি ভাষা বিভাগ ছাড়াও অস্কারে সেরা নির্মাতা, সেরা ছবি এবং সেরা মৌলিক চিত্রনাট্য’র পুরস্কার জিতে নিয়েছে বং জুন হো’র ‘প্যারাসাইট।’
চার সদস্যের একটি পরিবারের গল্প দিয়ে ছবির কাহিনী শুরু হয়। দরিদ্র সীমার নিচে বাস করা সেই পরিবারটি পিজার বাক্স বানায়। একদিন পরিবারের ছেলে সন্তানটি আবিষ্কার করে তাদের বাসা থেকে কয়েকটি সিঁড়ি উপরে উঠলেই ওয়াইফাই পাওয়া যায়। ভালো থাকার চেষ্টায় একসময় ছেলেটি ও মেয়েটি ধনীর সন্তানদের পড়াতে এবং ছবি আঁকা শেখাতে যায়। একসময় তাদের মনে হয়, নিজের বাড়ির চাইতে অন্যের বাড়িতেই তাদের বেশি ভালো লাগছে। কারণ সেখানে সব সুযোগসুবিধা পাওয়া যায়। এভাবেই আগাতে থাকে ছবির গল্প। টাইমস অব ইন্ডিয়া