দুর্নীতি মামলায় আদালত থেকে হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে থাকা নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার দুপুরের ওই ঘটনায় শতাধিক যানবাহন ভাঙচুর করে। এছাড়াও কয়েকটি যানবাহনে আগুন লাগিয়ে দেয় দলটির নেতাকর্মীরা। বিক্ষিপ্ত এ সংঘর্ষে আহত হন কয়েকজন। এ সময় ২৬ নেতা কর্মীকে আটক করে পুলিশ।
ভাঙচুর করা গাড়ির মধ্যে একজন বিচারপতির গাড়ি এবং পুলিশের কয়েকটি মোটর বাইক রয়েছে। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে দলটির ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক। হাইকোর্টের কদম ফোয়ারা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বঙ্গবাজার ও এর পাশের সচিবালয় এলাকায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা মিছিল করেন। এ সময় মিছিলকারীদের পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
পুলিশের ধাওয়ার পর নেতা-কর্মীরা বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করেন। বঙ্গবাজার মোড়ে একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় মিছিলকারীদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়া হয়।
বিএনপির মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বকশী বাজারের নিম্ন আদালতে হাজিরা দিয়ে ফেরার সময় হাইকোর্টের কদম ফোয়ারার কাছ থেকে কেন্দ্রীয় ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল হক, দক্ষিণের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেলসহ মোট ২৬ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
“আটকের পর এদের সবাইকে প্রিজন ভ্যানে করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এই বিষয় নিয়ে আগামীকাল দলের যৌথ সভা ডাকা হয়েছে। সভার সিদ্ধান্ত ও কর্মসূচি সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হবে। সেখানে মহাসচিব উপস্থিত থাকবেন।”
রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন সরদার সাংবাদিকদের বলেন, খালেদা জিয়ার ফেরার সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা গাড়ি ভাঙচুর করেছেন। এর মধ্যে পুলিশের গাড়িও রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।