মৃত্যুদণ্ডাদেশ পুনর্বিবেচনা চেয়ে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষে দাখিল করা পাকিস্তানের পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট গ্রহণের আবেদনও গ্রহণ করেননি আপিল বিভাগ। তারা বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের শুরু থেকে বিরুদ্ধে পাকিস্তানের অবস্থান, সুতরাং সেখান থেকে আসা নথির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আবেদনের শুনানি শুরু সকাল ৯টা ৫ মিনিটে। প্রথমেই পাকিস্তানের পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট উপস্থাপন করে সে বিষয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। আসামী পক্ষের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ১৯৭১ সালে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পরীক্ষায় পাশ করেন। আমরা আপিল বিভাগে দেওয়া তার মূল সার্টিফিকেট অবিশ্বাস করেছেন। আপিল বিভাগ বলেছে যেহেতু বর্তমান পাকিস্তানের বাংলাদেশের সঙ্গে একটা বিরোধপূর্ণ সর্ম্পক রয়েছে,সেহেতু বা তারা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষে এমন একটা সার্টিফিকেট পাঠাতে পারে।
তিনি আরো বলেন, আদালত আরো বলেছে সার্টিফিকেটটি দেখে মনে হচ্ছে এই সার্টিফিকেটটি সঠিক নয়। আমরা বলেছিলাম আমরা কতকগুলো এফিডেভিট দিয়েছিলাম তার সাথে যারা সহপাঠি ছিলেন তারা বলেছেন, ‘হাঁ, আমাদের সঙ্গে তিনি সহপাঠী ছিলেন এবং ওই সময় তিনি লাহোরে ছিলেন।’
সার্টিফিকেটের বিষয়ে আপিল বিভাগের মন্তব্য সম্পর্কে জানান এটর্নি জেনারেল। এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি সার্টিফিকেটের ডুপ্লিকেট কপি দিয়েছিলেন। সেটার সর্ম্পকে আমরাও বলেছি এবং আদালতও বলেছেন। তার সে সার্টিফিকেটকে আদালত বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে করেননি।