যাদের অল্পতেই ভুলে যাওয়া রোগ আছে, বা স্মৃতি বিভ্রাট ঘটে তাদের এতদিন পাজল খেলার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তাররা। কিন্তু এই পুরাতন ধারণাকে উড়িয়ে দিয়েছে নতুন এক গবেষণা। তারা দেখিয়েছেন মস্তিস্কের বিকাশ ও কার্যকলাপের উপর এসব গেমের কোনও প্রভাব নেই।
সম্প্রতি বিএমজে নামক একটি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে একদল স্কটিশ গবেষকের এ গবেষণা পত্র।
ইউনিভার্সিটি অব আবারডিনের এ গবেষণায় উঠে এসেছে ‘পাজল গেম নয় বরং বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা ও কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করলে মস্তিস্কের বৃদ্ধি ঘটে এবং তা সতেজ থাকে’।
১৯৩৬ সালে জন্ম নিয়েছেন এমন ৪৯৮ জন মানুষের উপর গবেষণা চালিয়ে তারা এ সিদ্ধান্তে আসেন।
এর আগের বছর গ্লোবাল কাউন্সিল অন ব্রেইন হেলথের এক রিপোর্টে বলা হয়, মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য মানুষকে উদ্দীপনামূলক কাজকর্ম-যেমন সংগীত শেখা,বাগান করা, কিংবা নকশা করা এসবের সাথে যুক্ত থাকতে হয়। তাহলে তাদের ‘ব্রেইন ট্রেনিং’ বা মস্তিষ্কের বিকাশ পরিপূর্ণ হয়। যা তাদের ভবিষ্যৎ জীবনে কাজে আসে। এতে বলা হয় যত তরুণ বয়সে মানুষ এসব কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পারবেন, বয়সকালীন সময়ে তাদের মস্তিস্ক তত সক্রিয় থাকবে।
তাই নিমিষেই সুডোকু খেলার জটিল সব হিসেব মিলিয়ে ফেলে অথবা বন্ধুদের সাথে বাজি ধরে পাজল গেমে জিতে ধরেই নিয়েছেন মস্তিস্কের জন্য খুব ভালো ব্যায়াম হচ্ছে, এই ধারণার দিন শেষ।