গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রত্যাবর্তনের সময় তাকে সাদরে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য বিএনপি প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দলটির মুখপাত্র ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
সোমবার সকালে দলের নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, আমরা অধীর প্রতিক্ষায় আছি। চিকিৎসা শেষে তিনি বুধবার দেশে ফিরছেন। তাকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য দলীয় নেতাকর্মীরা প্রস্তুত।
বুধবার বিকেল পাঁচটা ৪০ মিনিটে এমিরাটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে দেশে ফিরবেন বেগম খালেদা জিয়া।
বেগম জিয়াকে অভ্যর্থনা জানাতে কর্মসূচির বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রিজভী বলেন: নেত্রী যখন বিদেশ যান এবং দেশে ফিরেন তখন দলীয় নেতৃবৃন্দ যেভাবে বিদায় জানান এবং অভ্যর্থনা জানান ঠিক সেভাবেই অভ্যর্থনা জানানো হবে। এর বাইরে আর তেমন কিছু করা হবে না।
ঢাকার বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বিমানবন্দরে যাবেন, নেত্রীকে সাদরে গ্রহণ করবেন।
তিন মাসের বেশি সময় ধরে লন্ডনে আছেন খালেদা জিয়া। হাঁটু ও চোখের চিকিৎসার জন্য গত ১৫ জুলাই তিনি যুক্তরাজ্যে যান। ছেলে তারেক রহমান ও পরিবারের অন্যদের সঙ্গে ঈদ-্উল-আযহা উদযাপনের পর তার দেশে ফেরার কথা ছিল। তবে, কয়েকবার তার দেশে ফেরার তারিখ পেছানো হয়।
এ নিয়ে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলীয় জোটের নেতারা বিভিন্নরকম মন্তব্য করলেও বিএনপি নেতাদের দাবি, চিকিৎসার জন্যই তিনি এতদিন লন্ডনে ছিলেন।
তবে, এবার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়েই তাকে দেশে ফিরতে হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে দুটি মামলায় পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার নির্ধারিত তারিখে হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। নাশকতার একটি মামলায় জারি হওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এরইমধ্যে রাজধানীর শুলশান থানায় পৌঁছেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল দুদিন আগে বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দেশে ফিরলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিএনপি নেতারা বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার সম্ভাবনা দেখেই সরকার পরিকল্পিতভাবে তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেছে। এসব চক্রান্ত।