জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের অনুশীলনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। কিন্তু দেশে করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক পর্যায়ে থাকায় টাইগার ক্রিকেটারদের মাঠে ফেরার গ্রিন সিগন্যাল দিতে পারছে না বোর্ড।
প্রতিদিন তিন হাজারেরও বেশি কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হচ্ছে সারাদেশে। এমন অবস্থায় খেলোয়াড়দের মাঠে নামিয়ে ঝুঁকি নিতে চায় না বিসিবি। করোনা পরিস্থিতির একটু উন্নতি হলেই তামিম-মুশফিকদের অনুশীলনে ডাকা হবে, জানিয়েছেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান।
বাংলাদেশ দলের সাবেক এ অধিনায়ক বললেন, ‘সব বন্দোবস্ত তো আমরা করেই রেখেছি। তবে এখনই ক্রিকেটারদের অনুশীলনে নামিয়ে ঝুঁকি নিতে পারি না। ওদের কেউ যদি আক্রান্ত হয় সেটি আরও ভয়ের কারণ হবে। পরিস্থিতি একটু ভালো হলেই আমরা মাঠে নামব। পরিস্থিতি বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
‘অনুশীলন শুরুর পর সামনে আমরা যে সিরিজ বা টুর্নামেন্ট পাবো, সেটি দিয়েই শুরু করব। টেস্টকে আমরা প্রাধান্য দিয়ে এসেছিলাম, কিন্তু সেটি দিয়ে শুরু করা সম্ভব হবে কিনা এ মুহূর্তে বলা কঠিন।’
জুলাইয়ে বাংলাদেশ দলের শ্রীলঙ্কা সফর ও আগস্ট-সেপ্টেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বাংলাদেশ সফর স্থগিত হয়ে যাওয়ায় লাল বলের ক্রিকেট দিয়ে শুরু করাটা কঠিনই। আকরাম আশাবাদী এবছরই এশিয়া কাপ টি-টুয়েন্টি হওয়ার ব্যাপারে। জুলাইয়ের মাঝামাঝি সাদা বলেই শুরু হতে পারে তামিম-মুশফিকদের অনুশীলন। এখানেও শর্ত প্রযোজ্য, দেশে অবশ্যই করোনা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটতে হবে।
পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী এশিয়া কাপ সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে। অক্টোবর-নভেম্বরে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচির কারণে এবছর এশিয়া কাপও হবে একই সংস্করণে। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) ও ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) দুটি ইভেন্টই ঝুলে আছে করোনার কারণে। কয়েকদফা সভা হলেও সিদ্ধান্ত এখনো চূড়ান্ত করা যায়নি বৈশ্বিক পরিস্থিতির বিবেচনায়।
বিশ্ব ক্রিকেটের দিকে তাকালে অনুশীলনে ফেরা জরুরি হয়ে পড়েছে বাংলাদেশের। জুলাইয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে নেমে পড়বে ইংল্যান্ড, পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিছুদিন পর শ্রীলঙ্কায় শুরু হবে ঘরোয়া ক্রিকেট। জুন থেকেই চলছে দেশটির জাতীয় দলের অনুশীলন।
আফগানিস্তানও ফিরেছে ক্রিকেটে। ভারতের কয়েকজন ক্রিকেটার শুরু করেছেন অনুশীলন। তামিম-মুশফিকদের দ্রুত অনুশীলনে ফেরানো না গেলে ক্ষতি বাংলাদেশেরই। দীর্ঘ বিরতির পর ফিটনেস ও স্কিল ট্রেনিংয়ের সঙ্গে মানিয়ে নিতে লাগতে পারে অনেকটা সময়।
টাইগার ক্রিকেটারদের ঘরবন্দি জীবন চার মাস হতে চলেছে। করোনায় ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ বন্ধ হয়ে যায় এক রাউন্ডের পরই। ১৭ মার্চের পর থেকে বন্ধ বিসিবির ক্রিকেট কার্যক্রম। এরপর শুধু অপেক্ষা আর অপেক্ষা।