যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় থেমে ছিলো শরীয়তপুর বিসিকের উন্নয়ন কাজ। তবে পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হওয়ার পর পাল্টে গেছে এ চিত্র। জোরেশোরে শুরু হয়েছে শিল্প কারখানা স্থাপনের কাজ।
১৯৮৮ সালে ১৩.৮৮ একর জমির উপর স্থাপিত হয় শরীয়তপুর বিসিক-এর শিল্প সহায়ক নগরী। এর প্রায় দুই যুগেও বড় ধরনের কোন শিল্প কারখানা গড়ে ওঠেনি সেখানে। শুধু প্লট বরাদ্দের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল উন্নয়ন কাজ। ৯৬ টি প্লটের মধ্যে মাত্র ১৩ টিতে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলেও তা চলছে নানা সমস্যার ভেতর দিয়ে।
উদ্যোক্তারা বলছেন, যারা বড় প্লট নেন উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণের অপেক্ষায় ছিলেন তারা। তাই পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকেই সরব হয়ে উঠেছে পরিবেশ।
শরীয়তপুর বিসিক এলাকাবাসীরা বলেন, এখানকার কার্যক্রমে অনেক মালিক এখানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়তে আগ্রহী।
বিসিক-এ শিল্প কারখানা স্থাপিত হলে এলাকার জীবন-জীবিকা ও অর্থনীতিতে বড় ধরণের পরিবর্তন আসবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
শরীয়তপুর বিসিকের উপ-ব্যবস্থাপক মনির হোসেন বলেন, আমাদের শিল্প নগরীতে যারা উদ্যোক্তা আছে তারা তাদের কাছে খুবই আগ্রহ পেয়েছে। শরীয়তপুর শিল্প নগরী একটি খুব সম্ভাবনাময় শিল্প নগরী। তাই তারা তাদের কার্যক্রম দ্রুত চালিয়ে যাচ্ছে।
ক্ষুদ্র শিল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শরীয়তপুরসহ পুরো দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার জন্য উন্নয়নের আশির্বাদ হয়ে দাঁড়িয়েছে পদ্মা সেতু।