প্রমত্ত পদ্মার বুক চিরে অবশেষে নির্মিত হচ্ছে প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু। মাওয়া জাজিরা দু’পারেই ভারী যন্ত্রের কর্মযজ্ঞে শীতের শান্ত নদীতে উঠছে ঢেউ। এরইমধ্যে শেষ হয়েছে ২৭ শতাংশ কাজ।
আগামীকাল শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুর পাইলিংয়ের কাজের উদ্বোধন করবেন। তারপরই শুরু হবে মূল সেতুর নির্মাণকাজ।
বদলে গেছে পদ্মার মাওয়া ও জাজিরা পয়েন্টের দৃশ্যপট। ঘাটের স্থানে জায়গা করে নিয়েছে পদ্মা বহুমুখী সেতুর জন্য দিনভর সশব্দে চলতে থাকা নানা ধরনের ভারি যন্ত্র, ক্রেন। দু’ পারের প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যতটুকু চোখ যায় দেখা যায় শুধু সেতু গড়ে তোলার মহোৎসব। দু’পাশে মাটি পরীক্ষা চলছে। নদী শাসনের জন্য একদিকে তৈরি হচ্ছে ব্লক আরেক দিকে নদী তীরে সেসব ব্লক ফেলা হচ্ছে।
পদ্মা বহুমুখী সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, কাজ যে পরিমাণে এগোনোর কথা আমরা সেভাবেই আছি। পিছিয়ে নাই, বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছি।
পাঁচটি প্রধান ভাগে পদ্মা সেতুর কাজ হচ্ছে। আট হাজার কোটি টাকা খরচে হচ্ছে নদী শাসন। মূল সেতুর পিলার স্থাপনের জন্য কাঠামো তৈরি হচ্ছে বিশাল ওয়ার্কশপে।
সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হ্যামার দিয়ে সেই পিলার নদীতে নিয়ে যাওয়া এবং পিলার নির্মাণ। অত্যাধুনিক ভারী যন্ত্রপাতি আর প্রায় ৩ হাজার মানুষের দিন রাতের পরিশ্রমে ২৭ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
শফিকুল ইসলাম আরো বলেন, পিলারের কাজ এখনো চলমান। এখন আমরা মূলকাজে যাবো। সবগুলো পিলারের কাজ শেষ করে নয় বরং একদিকে পিলারের কাজ চলবে, অন্যদিকে মূল সেতুর কাজ চলবে। অনন্ত দেড় বছর লাগবে সব কাজ শেষ করতে।
৪২টি পিলারে দাঁড়িয়ে থাকবে ৬ কিলোমিটারের বেশি দীর্ঘ এ সেতু। মাওয়া অংশে দেড় কিলোমিটার আর জাজিরা অংশে সাড়ে ১০ কিলোমিটার সংযোগ সড়কের কাজও ৫৫ শতাংশ শেষ। নদীর মাঝখানে মূল পিলারের জন্য নির্ধারিত স্থানে পাইলিং শুরু হবে। চ্যালেঞ্জিং পাইল ড্রাইভিং কাজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।