নেপালে রাইড শেয়ারিং কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশের বাইক, কার ও খাবার সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান পাঠাও। ছোট একটি অনলাইন প্রচারণায় নেপালে যাত্রা শুরুর বিষয়টি জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
নেপালে খুব শীঘ্রই পাঠাওয়ের কার্যক্রম শুরু হচ্ছে বলে খবর প্রকাশ করেছে সেখানকার প্রযুক্তি খবর বিষয়ক অনলাইন সংবাদমাধ্যম ‘টেকলেখ’।
টেকলেখের প্রতিবেদনে জানানো হয়, খুব শীঘ্রই বাংলাদেশ ভিত্তিক পরিবহন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান পাঠাও নেপালের বাজারে ঢুকছে। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি নেপালে কার্যক্রম পরিচালনায় প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিও দিয়েছে।
২০১৬ সালে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করে পাঠাও। প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে বাংলাদেশের ঢাকা, চট্টগ্রাম এ সিলেটে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এখন রাইড শেয়ারিংয়ের পাশাপাশি অনলাইনে খাবারের অর্ডার নিয়ে পৌঁছে দেবার কার্যক্রম পাঠাও ফুড পরিচালনাও করছে। রয়েছে পাঠাও কুরিয়ার সার্ভিস। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি পাঠাও পে নামের একটি অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম চালু করতে চেয়েছিলো। রাইড শেয়ারিংয়ে পাঠাও পে নিয়ে যাত্রী-চালকদের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করছিলেন অনেকে। আপাতত সরকারি অনুমোদন না পেয়ে পাঠাও পে বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
দেশে পাঠাওয়ের রাইড সার্ভিস নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে ব্যবহারকারীদের অভিযোগ অনেক। বিশেষ করে বাইকে যাত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে। সম্প্রতি রাজধানীতে মোটরসাইকেল চালক ও যাত্রীর হেলমেট বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশের কড়াকড়ি আরোপের পর পাঠাওয়ের বাইক চালকরা অনেকেই মামলা থেকে বাঁচতে যাত্রীকে নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত পাতলা প্লাস্টিকের হেলমেট দিচ্ছে বলেও অভিযোগ আসছে সামাজিক মাধ্যমে। তাছাড়া আগে থেকেই অদক্ষ চালক, রাইড শেয়ারিং নীতিমালার শর্ত ভঙ্গের অভিযোগ আছে পাঠাওয়ের বিরুদ্ধে।