চরম মানবিক বিপর্যয়ে নেপালের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে জরুরি চিকিৎসা সেবা এবং ত্রাণ সরবরাহ করার জন্য রাজধানী কাঠমান্ডুতে পৌঁছেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ত্রাণবাহী জরুরি বিমান। প্রায় ১০০ জন ইউএস নৌসেনা, দু’টি হেলিকপ্টার এবং উলম্বভাবে অবতরণে সক্ষম চারটি ‘অসপ্রে’ বিমান রয়েছে মার্কিন সহায়তা বহরে।
তবে এর আগে দেশটির সঙ্গে আন্তর্জাতিক যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম কাঠমান্ডু বিমানবন্দরের রানওয়েতে ফাটল দেখা দেয়ায় বড় ধরণের বিমান অবতরণ নিষিদ্ধ করে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
সময় বাড়ার সাথে সাথে পানি ও খাবারের অভাবে রোগের প্রকোপ বাড়ছে রাজধানী কাঠমান্ডুসহ ভূমিকম্প দুর্গত এলাকাগুলোতে। প্রত্যন্ত অনেক অঞ্চলে এখনও ত্রাণ পৌঁছায়নি, ত্রাণের অপেক্ষায় রয়েছে লাখ লাখ মানুষ। অস্থায়ী শিবিরগুলোর অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, ওষুধের অভাব আভাস দিচ্ছে রোগের প্রকোপ বাড়ার।
এ অবস্থায় ভূমিকম্পের পরদিন থেকেই ত্রাণ তৎপরতা নিয়ে অভিযোগ করে আসছে ভুক্তভোগীরা। বিদেশ থেকে বিভিন্ন ত্রাণ এলেও সেগুলো না পাওয়ার জন্য সরকারি ব্যবস্থাপনাকেই দুষছেন তারা। জাতিসংঘও অভিযোগের সুরে তেমনটিই বলেছে।
সরকারিভাবে আর কাউকে জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা না থাকার ঘোষণা করা হলেও নিহতদের ধ্বংসস্তূপ থেকে বের করতে অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে। নেপালে ভূমিকম্পের আট দিন পর রাজধানী কাঠমান্ডুর উত্তরাঞ্চলের ধ্বংসস্তূপ থেকে তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারীরা। তবে খারাপ আবহাওয়ায় উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা সাত হাজার ছাড়িয়েছে। এছাড়া ১৪ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে।