নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে ১২ মার্চ বিধ্বস্ত হওয়া বাংলাদেশী উড়োজাহাজে ক্রুসহ মোট যাত্রী ছিল ৭১ জন। যার মধ্যে ৩৬ জন বাংলাদেশী, ৩৩ জন নেপালী এবং ১ জন করে মালদ্বীপ ও চীনা নাগরিক। দুর্ঘটনার পরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ দেশী বিদেশী অনলাইন, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে দুর্ঘটনার খবর প্রকাশিত হতে শুরু করে। সেই সঙ্গে দুর্ঘটনার কারণ নিয়েও নানা জল্পনা-কল্পনা ডালপালা মেলতে থাকে। বিশেষ করে ফেসবুকে কেউ কিছু বললেই সেখানে অনেকেই লিখতে থাকেন। এমনিতেই বাঙালি কল্পনাপ্রবণ ও খুবই সংবেদনশীল। যে কোন ঘটনায় নিজের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ দিতে পছন্দ করে, সত্যিকারের বিশেষজ্ঞের জন্য অপেক্ষা করে না নিজেরাই বিশেষজ্ঞ মতামত দিতে থাকে।
আবার আমাদের মধ্যে আবেগ ও ভালোবাসা বেশি হওয়ায় অনেকসময় স্বাভাবিক চিন্তা করার ও দেখার চোখ ঝাপসা হয়ে যায়। আমরা আবেগাশ্রয়ী মতামত দিতে থাকি। দুর্ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন স্ট্যাটাস ও আলোচনা বেশি হতে দেখা যাচ্ছে। এদিকে অনলাইন, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াগুলো একে অন্যের চেয়ে এগিয়ে থাকতে এবং নিজেদের পাঠক ও দর্শকদের সংখ্যা বাড়াতে সেনশনাল বা উত্তেজনাপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার কারণের মধ্যে সন্দেহ আর বিতর্ক উসকে দিচ্ছে। এখানে এমন কয়েকটি ঘটনা উল্লেখ করা হলো। দুর্ঘটনার পরপরই একজন সিনিয়র সাংবাদিক তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘কোন ধরনের জবাবদিহিতা না থাকাই এ ধরনের দুর্ঘটনার কারণ। ১৭ বছরের পুরনো এয়ারক্রাফট নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বিমানবন্দরে ইউএস বাংলা নামতে যাচ্ছিল। শিশুসহ বহু মানুষের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে হলেও জবাবদিহিতা শুরু হোক এভিয়েশন সেক্টরে। ….. আজকের ঘটনা কোন দুর্ঘটনা নয়, এটা একটা হত্যাকাণ্ড। এর বিচার চাই।’
সিনিয়র এই সাংবাদিক এভাবে উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করার আগে দায়িত্ব নিয়ে যদি গুগল করে দেখতেন তবে নিশ্চিতভাবে জানতে পারতেন তিনি দু’টি ভুল তথ্য দিচ্ছেন। প্রথমত, নতুন এয়ারক্রাফটও দুর্ঘটনায় পড়ে। একই ধরণের ড্যাশ ৮ কিউ ৪০০ মডেলের একটি উড়োজাহাজ ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে আমেরিকার নিউইয়র্কে বিধ্বস্ত হয়ে সবযাত্রী মারা গিয়েছিল। ওই উড়োজাহাজটি নির্মাণের পর মাত্র ১৫০০ ঘণ্টা উড়েছিল। বলা যায় প্রায় ব্র্যান্ড নিউ উড়োজাহাজ ছিল সেটি। এদিকে উড়োজাহাজ শিল্পের বোদ্ধাদের তালিকায় স্বল্প দূরত্বে যাত্রী পরিবহণের জন্য নিরাপদ উড়োজাহাজের তালিকায় কানাডায় তৈরি হওয়া ড্যাশ ৮ উড়োজাহাজ রয়েছে। তবে হ্যাঁ নতুন পুরনো নির্বিশেষে ড্যাশ ৮ কিউ ৪০০ মডেলের উড়োজাহাজের ল্যান্ডিং গিয়ার নিয়ে কখনো কখনো সমস্যা হয়েছে।
২০০৭ সালে ছয় সপ্তাহে তিনটি উড়োজাহাজে ল্যান্ডিং গিয়ার সমস্যা হওয়ায় স্ক্যান্ডিনেভিয়ান এয়ারলাইন্স তাদের উড়োজাহাজ বহরের সবগুলো ড্যাশ ৮ কিউ ৪০০ মডেলের উড়োজাহাজ বাদ দিয়ে দিয়েছিল। দ্বিতীয়ত, সিনিয়র সাংবাদিক যেভাবে বলেছেন যে, নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দর বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বিমানবন্দর, সেটাও কিন্তু ঠিক নয়। বিশ্বের প্রথম ১০টি ঝুঁকিপূর্ণ বিমানবন্দরের তালিকায় ত্রিভুবনের নাম নেই। ভুটানের পারও বিমানবন্দরের নাম রয়েছে। তাছাড়া ত্রিভুবন বিমানবন্দরে প্রায় ৪০টি আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সের কয়েক হাজার ফ্লাইটের মাধ্যমে প্রতিবছর গড়ে ৩৫ লাখের মতো যাত্রী নেপালে যাতায়াত করে।
এদিকে, একটি জাতীয় দৈনিকে হেডিং করা হলো ‘সৈয়দপুরে দুর্ঘটনায় পড়া বিমানটি নেপালে বিধ্বস্ত হলো।’ মূলত এই ধরনের সস্তা হেডিং করার কারণ পাঠক আকৃষ্ট করা। এটি ঠিক যে, নেপালে বিধ্বস্ত হওয়া উড়োজাহাজটি ২০১৫ সালে সৈয়দপুরে যান্ত্রিক ত্রুটির শিকার হয়েছিল এবং ওই দিনই ৮ ঘণ্টা পর উড়োজাহাজটি যাত্রী নিয়ে ঢাকায় ফিরে এসেছিল। এরপর গত ৩ বছর ধরে উড়োজাহাজটি নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করে আসছে। এই সময়ে এই পত্রিকাটি কোন রিপোর্ট প্রকাশ করেনি। এখন করছে। কারণ এখন এটা সেনশেসন তৈরি করবে। পত্রিকার কাটতি বাড়বে। কিন্তু এটা কোনমতেই দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা নয়।
কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন, উড়োজাহাজটির ক্যাপ্টেনের ত্রিভুবন এয়ারপোর্টে উড়োজাহাজ অবতরণ করার অভিজ্ঞতা না থাকাতেই এমনটা হয়েছে। আমি নিশ্চিত এই প্রশ্ন যারা তুলেছেন তারা বিধ্বস্ত হওয়া উড়োজাহাজের পাইলট প্রয়াত ক্যাপ্টেন আবিদ সুলতান সম্পর্কে কিছুই জানেন না। অথচ জানার চেষ্টা করলে তারা সহজেই জানতে পারতেন। কারণ ফেসবুকে প্রয়াত আবিদ সুলতানের পেইজে গেলেই জানা যেতো তিনি একদা বাংলাদেশ এয়ার ফোর্সে ছিলেন এবং তার বন্ধুদের পোস্ট থেকে জানা যেতো তিনি তার সমসাময়িক অনেক পাইলটের চেয়ে দক্ষ ও অভিজ্ঞ। নেপালের এই এয়ারপোর্টে তিনি অনেকবার উড়োজাহাজ নিয়ে যাতায়াত করেছেন।
দুর্ঘটনায় বিধ্বস্ত ড্যাশ ৮ কিউ ৪০০ মডেলের উড়োজাহাজটি ১৯২৮ সালে প্রতিষ্ঠিত কানাডার উড়োজাহাজ নির্মাণ প্রতিষ্ঠান দে হ্যাভল্যান্ড কানাডা (De Havilland Canada)-র তৈরি। ২০০১ সালের ৩০ এপ্রিল উড়োজাহাজটি লিজিং কোম্পানি বোম্বারডিয়ার ক্যাপিটালের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ১৯ দিন পর স্ক্যানডিনেভিয়ান এয়ারলাইন্স লিজ নেয়। ১৪ মাস পরে ২০০২ সালের ৩ জুলাই তারা উড়োজাহাজটি ফেরত দেয়। এরপর ২০০৫ সালের ২৪ অক্টোবর রয়াল জর্ডেনিয়ান এয়ারলাইন্স উড়োজাহাজটি লিজ নেয়। ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে তারা বোম্বারডিয়ারের কাছে ফেরত দেয় এবং মে মাসে উড়োজাহাজটি জার্মানির অসবার্গ এয়ারলাইন্স কিনে নেয়। ২০১৩ সালের অক্টোবরে অসবার্গ এয়ারলাইন্স তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। এসময়ে তাদের উড়োজাহাজ বহরে বেশিরভাগ ড্যাশ ৮ কিউ ৪০০ ছিল। আর ছিল ব্রাজিলের তৈরি এমব্রায়ার ই-জেট উড়োজাহাজ। শেষোক্ত উড়োজাহাজগুলো অসবার্গের ব্যবসায়িক পার্টনার লুফথানসা সিটিলাইন কিনে নেয়। ড্যাশ ৮ কিউ সিরিজের উড়োজাহাজগুলো থেকে যায়। সেখান থেকেই বাংলাদেশের ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স ২০১৪ সালের ৩০ মে উড়োজাহাজটি সংগ্রহ করে। একই কোম্পানি থেকে ওই সময়ে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স আরো একটি ড্যাশ ৮ উড়োজাহাজ সংগ্রহ করেছিল। এ পর্যন্ত ড্যাশ ৮ কিউ সিরিজের ৪৫৭৬টি উড়োজাহাজ তৈরি করা হয়েছে। সর্বশেষ উড়োজাহাজটি এমাসের ২ তারিখে ডেলিভারি দেওয়া হয়েছে কানাডার ওয়েস্টজেট এনকোর এয়ারলাইন্সকে। ৪৫৭৪ ও ৪৫৭৫ সিরিয়াল নাম্বারের ড্যাশ ৮ কিউ ৪০০ দুটো কারখানা থেকে গত ডিসেম্বরে সরাসরি ডেলিভারি নিয়েছে ইথোপিয়ান এয়ারলাইন্স। ইথোপিয়ান এয়ারলাইন্সের ৯৪টি উড়োজাহাজের মধ্যে ২১টি ড্যাশ ৮ কিউ ৪০০ মডেলের।
উল্লেখ্য যে, নেপালে বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের ক্যাপ্টেন আবিদ সুলতান ইথোপিয়ান এয়ারলাইন্সে যোগ দেওয়ার জন্য ইউএস বাংলা থেকে পদত্যাগও করেছিলেন। কিন্তু সেই পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়নি। কোন কোন পত্রিকায় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন যে পদত্যাগপত্র গৃহীত না হওয়াসহ নানান কারণে ইউএস বাংলা কর্তৃপক্ষের সাথে ক্যাপ্টেন আবিদ সুলতানের মনোমালিন্যের কারণে তিনি বিমর্ষ ছিলেন। সেই চাপ থেকে তিনি স্বাভাবিক দক্ষতায় উড়োজাহাজটি চালাতে ব্যর্থ হয়েছেন। যা ক্যাপ্টেন আবিদ সুলতানের মতো পেশাদার বৈমানিকের জন্য কোনভাবেই প্রযোজ্য নয়, সেটি যারা পেশাদার মানুষ তারা ছাড়া অন্য কেউ বুঝবেন না। একজন পেশাদার ব্যক্তির পেশাদারিত্বটা ওখানেই যে, তিনি যখন কোন দায়িত্ব পালন করেন সেটা সবসময় সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব দিয়েই সম্পন্ন করেন।
এইসকল কারণ ছাড়াও দুর্ঘটনার আরো বেশ কিছু কারণ আলোচনায় আসছে যেমন আঞ্চলিক পরাশক্তির দ্বন্দ্বের কারণে বাংলাদেশের সাথে নেপালের সম্পর্ক খারাপ করার কৌশল হিসেবে এটা স্যাবটাজ এমন মনগড়া কল্পকাহিনী পর্যন্ত বলা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে না আরো অনেক কাহিনী। তবে এর বাইরে যে কারণটি সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে সেটা হলো নেপালের ত্রিভুবন এয়ারপোর্টের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের বিভ্রান্তিমূলক নির্দেশনা। ইতোমধ্যে নেপাল সরকারের দিক থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কাজ শুরু করেছে উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এবং ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স। আগামী সপ্তাহের মধ্যে দুর্ঘটনার কারণ সঠিকভাবে নিরূপণের প্রধান হাতিয়ার উড়োজাহাজের ব্ল্যাক বক্সের ডাটা উদ্ধার করা হলে সব জল্পনা কল্পনার অবসান হবে বলে সবাই আশা করছেন।তার আগ পর্যন্ত মনগড়া কাহিনী ফাদা থেকে সবাই বিরত থাকাই উত্তম।
আমাদের মনে রাখতে হবে বাংলাদেশের এভিয়েশন সেক্টর একদমই প্রাথমিক অবস্থায় রয়েছে। সরকারি প্রতিষ্ঠান বিমানের স্বাধীনতাত্তোর সময়কালে হাজার হাজার কোটি টাকা লোকসানের বিপরীতে বিগত বছরগুলোতে কয়েকজন উদ্যোক্তার কারণে আমরা বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় কয়েকটি উড়োজাহাজ কোম্পানি দেখতে পাচ্ছি, যারা বড় ধরনের আর্থিক ঝুঁকি সত্বেও এই ব্যবসায় এসেছেন। বেসরকারি উড়োজাহাজ কোম্পানিগুলোর মধ্যে মধ্য আশি ও নব্বইয়ের দশকে চালু হওয়া প্রথম প্রজন্মের এরো বেঙ্গল, এয়ার পারাবাত, জিএমজি তাদের ব্যবসা ধরে রাখতে পারেনি। এরপর দ্বিতীয় প্রজন্মের ইউএস বাংলা, নভোএয়ার, রিজেন্ট এয়ারওয়েজ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য করতে হবে যে, রাষ্ট্রায়াত্ত্ব প্রতিষ্ঠান বিমান লোকসান দেওয়ার পরও সকল কর্মীর বেতন বোনাস ঠিক থাকলেও বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলোর সেই বিলাসিতা করার সুযোগ নেই। তাদেরকে লাভ করেই সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন ভাতা দিতে হয়। প্রয়োজনীয় লাভ করতে পারেনি বলেই প্রথম প্রজন্মের কোম্পানিগুলো টিকে থাকতে পারেনি।
এখন চালু থাকা এয়ারলাইন্স কোম্পানিগুলোর মালিকদের অন্যান্য ব্যবসাও আছে। এবং এয়ারলাইন্সগুলোর কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের কোন কোন মাসে বেতন দিতে অন্য ব্যবসার লাভের টাকা এনে খরচ করতে হয়। তার সহজ মানে হলো বাংলাদেশে উড়োজাহাজে চড়া মানুষের সংখ্যা বাড়লেও এখনো অতোটা বাড়েনি যা একটি উড়োজাহাজ কোম্পানিকে নিশ্চিতভাবে ব্যবসা অব্যাহত রাখার শক্ত ভিত দিতে পারে। এই রকম একটি পরিস্থিতিতে নেপালে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার মতো মর্মান্তিক এই ঘটনাটি বাংলাদেশের এয়ারলাইন্স খাতের জন্য বড় ধরনের দুঃসংবাদ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও মিডিয়ায় যে বা যারা দায়িত্বহীনভাবে জল্পনা কল্পনার ডালপালা ছড়িয়ে দিচ্ছেন তারা সমস্যাটাকে আরো বাড়িয়ে তুলছেন মাত্র।নিজেদের মনের খেয়াল খুশি মতো তারা এটা ওটা বলে নিজেদের পাশাপাশি অন্যদেরও বিভ্রান্ত করছেন। এই অবস্থায় আমাদের সবার উচিত হবে ব্ল্যাক বক্সের তথ্য উদঘাটন ও সঠিক তথ্য পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করা। আমাদেরকে পুরো ঘটনাটিকে সামগ্রিকভাবে দেখতে পারতে হবে। এবং দুর্ঘটনায় নিহতদের আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থনা করার পাশাপাশি আহতদের দ্রুত আরোগ্য লাভের জন্য দোয়া করতে হবে। তবে হ্যা, মিডিয়াকে অবশ্যই এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের উপর চাপ ধরে রাখতে হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের জন্য ব্যবস্থা যাতে নেওয়া হয় সেদিকেও নজর রাখতে হবে।
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)