চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

নুহাশপল্লীতে যেতে ইচ্ছে করে না: আসাদুজ্জামান নূর

হুমায়ূন আহমেদের নুহাশপল্লীর সঙ্গে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে​ আছে আসাদুজ্জামান নূরের। কিন্তু হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর পর নুহাশপল্লীতে আর যাওয়া হয়নি।

হুমায়ূন আহমেদের ঘনিষ্ঠতম বন্ধুদের একজন আসাদুজ্জামান নূর। তিনি হুমায়ূন আহমেদের অনেকগুলো নাটক আর চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। দেশের জনপ্রিয় এই কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতার প্রয়াণ দিবসে তাঁকে স্মরণ করে একটি জাতীয় দৈনিকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি।

হুমায়ূন আহমেদের নুহাশপল্লীতে অনেক নাটক আর চলচ্চিত্রের কাজ করেছেন আসাদুজ্জামান নূর। আড্ডা দিয়েছেন। অবসর কাটিয়েছেন। আজ এই জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিকের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করে অভিনেতা ও সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, ‘নুহাশপল্লীতে যেতে ইচ্ছে করে না। বন্ধুরা কখনো কখনো ভেবেছিলাম যাব, কিন্তু হয়ে ওঠেনি। হুমায়ূন মারা যাওয়ার আগে নিউইয়র্কে তিন দিন ওর পাশে ছিলাম। ফিরে আসার সময় আবার লন্ডন থেকে ফোন করেছিলাম, অন্যপ্রকাশের মাজহার বলেছে, এখন সে কিছুটা ভালো। কিন্তু তারপর…ওর লাশ যখন দেশে এল, আমি ছিলাম না। ভালোই হয়েছে। সে সময় যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাগুলো ঘটেছে, তা খুবই বেদনাদায়ক। দেশে থাকলে আমাকেও কোনো না কোনোভাবে তার সঙ্গে যুক্ত হতে হতো।’

হুমায়ূন আহমেদের নাটকে অভিনয় করেন আসাদুজ্জামান নূর ও সুবর্ণা মুস্তাফা
হুমায়ূন আহমেদের ‘কোথাও কেউ নেই’ ধারাবাহিকে অভিনয় করেন আসাদুজ্জামান নূর ও সুবর্ণা মুস্তাফা

‘বাকের ভাই’ চরিত্রে অভিনয় করে টেলিভিশন নাটকে অসাধারণ জনপ্রিয়তা পান আসাদুজ্জামান নূর। ‘কোথাও কেউ নেই’ ধারাবাহিকে তিনি একটি নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করার চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন। বললেন, ‘আমাকে বলা হয়েছিল, “তোমার তো সফট ফেস। স্ক্রিনে আসো ভালো মানুষের চেহারা নিয়ে। গুন্ডাপান্ডার রোলে তুমি ফেল করবা।” আমি ভাবলাম, মুনার প্রেমিক হিসেবে আমি যেভাবে উঠি বসি চলি, সেভাবে করলেই হয়ে যাবে। আমাকে কোনো চেষ্টা বা পরিশ্রম করতে হবে না। কিন্তু বাকের ভাই চরিত্রটি যদি করি, তাহলে ভেবেচিন্তে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। কিন্তু প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হয়নি। নাটক লেখার পর কাজ শুরু করতে সময় লাগে না। ভেবেছিলাম চুলটা আরেকটু লম্বা করব, একটা ঝুঁটি বাঁধব। পরে সানগ্লাসে চোখ ঢেকে, গলায় চেইন, হাতে ব্রেসলেট পরে কিছুটা পরিবর্তন এনেছিলাম।’