কোনো উত্তেজনা নেই। নেই কোনো সাড়া-শব্দ। চিকুনগুনিয়া নামের অনাহুত ভাইরাস জ্বর যতটা আলোচনার খাতায়, ঠিক ততটাই পেছন দরজায় এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ চ্যাম্পিয়নশিপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ। অন্ধকারের বুক ছুঁয়ে ডুবতে থাকা ফুটবল যেন গভীর সমুদ্রে দিকহারানো নাবিকের নৌকা; আলোর খোঁজে দিশেহারা। বুধবার জর্ডানের বিপক্ষে সেই আলো খুঁজবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় মুখোমুখি হবে দুই দল। গত অক্টোবরে এশিয়া কাপের প্লে-অফ রাউন্ডে ভুটানের বিপক্ষে নাকানিচুবানি খায় বাংলাদেশ। ভরাডুবির সেই হার নাড়িয়ে দিয়ে যায় দেশের ফুটবল ফেডারেশনকে। তারপর কোচ বদল হয়েছে। দেশের সার্বিক পরিস্থিতিতে অনেক উত্থান-পতন হয়েছে। তার মাঝে টিকে রয়েছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। আশাবাদী মানুষটি ফুটবলে পাহাড় ধসের মতো পরিস্থিতিতেও বুক চিতিয়ে বলে যাচ্ছেন, আলো আসবেই!
অর্ড দায়িত্ব নেয়ার পর তিন সপ্তাহ কোচিং করিয়েছেন। প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে নেপাল যাওয়ার আগে ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন আবাহনীর বিপক্ষে জয় পায় তার ছেলেরা। কিন্তু নেপালে প্রথম প্রস্তুতিতে হারার পর কাতারের বিপক্ষেও হার দেখতে হয় তাকে। নবাগত এক অখ্যাত কোচ গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টে দেশকে কীসের ভেতর ফেলবেন তা নিয়ে চিন্তার শেষ নেই।
চ্যাম্পিয়নশিপের শেষ দুই আসরে সাত ম্যাচের একটিতেও জয় পায়নি বাংলাদেশ। চার বছর আগে এই জর্ডান কাঠমুন্ডুতে বাংলাদেশকে ৩-০ গোলে হারের জ্বালা দিয়েছিল। জাতীয় দলের র্যাঙ্কিংয়ে দেশটি ১০৮তম। বাংলাদেশ ১৯০তম। এই আসর যুবদলের হলেও জাতীয় দলের ঝাঁজ থাকবে।
ম্যাচের আগে বাফুফের পাঠানো বিবৃতিতে বাংলাদেশ কোচ বলছেন জর্ডান চাপে থাকবে, ‘ওরা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরের রাউন্ডে যেতে চাইবে। সেক্ষেত্রে আমরা সুবিধা পেতে পারি। যেকোনো টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ। তাদের ভুলের সুযোগ আমাদের নিতে হবে। নিজেদের তৈরি করা সুযোগও কাজে লাগাতে হবে।’
‘জর্ডানের খেলায় কিছুটা ইউরোপীয় ফুটবলের ছোঁয়া আছে। আমাদের কোনো ভুল করা চলবে না। তারা গতিময় ফুটবল খেলবে। শারীরিক সক্ষমতাও দেখাবে। ফুটবলে সবসময়ই আশা থাকে। আমরা স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি।’
অর্ড স্বপ্ন দেখানোর কথা বলছেন! স্বপ্ন দেখার সাহস কি এই বাংলাদেশের আছে?