ঈদের সময় পরিবারের টানে শত ঝামেলা, ভিড় উপেক্ষা করেও নীরে ফিরে মানুষ। খুব অল্প সময় আপন মানুষগুলোর পাশে থাকা যায়, তবু তাতেই শান্তি। কিন্তু ঈদে মানুষের এই বাড়ি ফেরাকে ঘিরে তৈরি হয় অনেক প্রতারক চক্র। আবার পথে দুর্ঘটনাও ঘটে অনেক। ফলে অনেক সময় আনন্দ করতে গিয়ে উল্টা আনন্দ মাটি হয়ে যায় ঈদের। আর তাই ঈদ ভ্রমণে বাড়তি সতর্কতা থাকা চাই। জেনে নিন ঈদ ভ্রমণের সতর্কতা সম্পর্কে।
যেই সময়ের টিকেট করেছেন তার কিছুটা আগেই পৌঁছানোর চেষ্টা করুন। পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে রওনা দিন। শেষ মুহূর্তের আশায় থাকা যাবে না। কারণ রোজায় পথে জ্যাম থাকতে পারে। বাস বা ট্রেন সময়মত ধরতে না পারলে ঈদের ভিড়ে টিকেটও পাওয়াও আরেক ঝামেলা। সব মিলিয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে।
ভ্রমণের সময় চেষ্টা করুন খুব বেশি জিনিসপত্র না নেয়ার। হাতের লাগেজ অতিরিক্ত হয়ে গেলে ভ্রমণে অনেক ঝামেলা পোহাতে হবে। ভিড়ে হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। পরিবারের জন্য কেনা ঈদের পোশাকের সঙ্গে নিজের পরিচয়পত্র, ব্যবহারের প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস, অল্প পোশাক, ওষুধ, খাবার স্যালাইন, খাবার পানির বোতল, মোবাইল ফোন ও চার্জার ইত্যাদি সাথে রাখুন।
ভ্রমণের পোশাক হওয়া উচিত আরামদায়ক। সুতি পোশাক পরুন। বেশি আঁটসাঁট পোশাক পরা যাবে না। ঢিলেঢালা পোশাক পরতে হবে। পায়ে জুতা না পরে স্যান্ডাল পরুন। ভ্রমণের সময় যাদের বমি হওয়ার অভ্যেস , তারা বমির ওষুধ খেয়ে নিতে পারেন।
ভ্রমণে খুব বেশি খাওয়া-দাওয়া করবেন না। অনেকেই যাত্রা বিরতিতে ভারী ও তৈলাক্ত খাবার খেয়ে থাকেন। এধরনের খাবার সহজে হজম হয় না। ফলে পথে বমি ও পেট খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও অপরিচিত কারও দেয়া খাবার খাওয়া বিপদজনক। ভ্রমণে বন্ধুত্ব হলেও কাউকে পুরোপুরি বিশ্বাস করে তার দেয়া খাবার খাবেন না।
ছবি: আবু সুফিয়ান জুয়েল