ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা আর আনন্দঘন পরিবেশে শুরু হয়েছে একাদশ জাতীয় নির্বাচনের প্রচারণা। আজকেই শুরু হয়েছে একাদশ জাতীয় নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা। এবারের নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচে বেশি সংখ্যক রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে একটি মাইলফলক হতে যাচ্ছে। বর্তমান সরকারের অধীন নির্বাচন করবে না বলা বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো তাদের কঠোর অবস্থান থেকে সরে এসেছে। এখন জোট গঠন করে প্রত্যেকটি দল তাদের সীমিত সাধ্যের মধ্যে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। দেশ-জাতি উন্মুখ হয়ে বসে আছে একটি গণতান্ত্রিক সরকারের অধীন সুষ্ঠু, অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য। সোমবার নির্বাচন কমিশন থেকে প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে নির্বাচনে প্রার্থী সমর্থকদের মাঠের লড়াই শুরু হয়েছে। প্রতীক পেয়েই প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন। এই লড়াই চলবে প্রচারণার শেষ দিন পর্যন্ত। ৩০ ডিসেম্বর ভোটের পর জানা যাবে চূড়ান্ত লড়াইয়ে কে কে জয়ী হলো। প্রার্থীরা নিজেদের দলীয় তীর্থভূমি থেকে প্রচারণা শুরু করছেন। টুঙ্গিপাড়া থেকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা তার নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করছেন। হেভিওয়েট প্রার্থীদের কেউ কেউ স্থানীয় মাজার জিয়ারত বা মসজিদে বিশেষ দোয়া করে প্রচারণা শুরু করেছেন। গত ২৮ নভেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময়। মোট ৩ হাজার ৬৫টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিল। এর মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো থেকে জমা পড়ে মোট ২ হাজার ৫৬৭টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পক্ষ থেকে জমা পড়ে ৪৯৮টি মনোনয়নপত্র। বাছাইয়ে সবচেয়ে বেশি বাতিল হয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির মনোনয়নপত্র। তবে নির্বাচন কমিশনে আপিল করে দলটির অনেক নেতাই প্রার্থিতা ফিরে পান। তফসিল অনুযায়ী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর।
যেভাবে শুরু হয়েছে এই নির্বাচনের আনন্দের আমেজ সেভাবেই যেন শেষ হয় এই নির্বাচন। সারাদেশে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা যেন পায় একটি উৎসবমুখর পরিবেশ। আমরা আশা করব সহিংসতামুক্ত সুষ্ঠু ও স্বাভাবিকভাবে এই নির্বাচন শেষ করে নির্বাচন কমিশন একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। দেশের মানুষ তাদের নেতা নির্বাচন করে স্বস্তির সঙ্গে যেন ঘরে ফিরতে পারে।