১৮ ম্যাচে ১২ জয়। চলতি বছর ওয়ানডে সংস্করণে বাংলাদেশের পরিসংখ্যান এটি। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে সাফল্যের ধারা অব্যাহত ২০১৫ সাল থেকে। জয়ের পাল্লা ভারী রাখায় র্যাঙ্কিংয়ে সাত নম্বর অবস্থানটা দৃঢ় হয়েছে। রেটিং পয়েন্টে ছয়ে থাকা অস্ট্রেলিয়ার কাছাকাছি এখন মাশরাফীর দল।
অস্ট্রেলিয়ার ১০০, বাংলাদেশের ৯৪। আটে থাকা শ্রীলঙ্কার পয়েন্ট ৭৯। বাংলাদেশের চেয়ে তারা পিছিয়ে ১৫ পয়েন্টে। পরিসংখ্যানই সাক্ষ্য দিচ্ছে ওয়ানডে ক্রিকেটে ক্রমেই উপরের দিকে ধাবিত হচ্ছে টাইগাররা।
সাম্প্রতিক সময়ে টেস্টেও আসছে সাফল্য। নিধাস ট্রফির ফাইনাল খেলে বাংলাদেশ জানান দিয়েছে, টি-টুয়েন্টিতেও দিন বদলাচ্ছে।
রঙিন পোশাকে উচ্চমার্গীয় দল হয়ে ওঠার পেছনে ক্রিকেটারদের মনোভাব, বেড়ে ওঠার প্রক্রিয়া, তারুণ্য-অভিজ্ঞতার মিশেল ভূমিকা রাখছে বলে মনে করেন বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ সুনিল যোশি।
‘যেকোনো দলের দিকে তাকিয়ে দেখবেন এই দলটি অনেক ভালোভাবে বেড়ে উঠছে। সর্বশেষ দুই বছর দেখুন, আমরা দলগতভাবে কি অর্জন করেছি। অবশ্যই সাদা বল এবং টেস্ট ক্রিকেটেও। ওয়েস্ট ইন্ডিজে সিরিজ জিতেছি এবং সাদা বলে তাদের হারিয়েছি। সাদা বলের ক্রিকেটে আমরা সামনে এগিয়ে চলেছি এবং ভারতের কাছে তিনটি টুর্নামেন্টে শেষ বলে গিয়ে হেরেছি। আমরা যদি সর্বশেষ দুই বছরে দলের সার্বিক পারফরম্যান্সের দিকে তাকাই, গ্রাফটা ক্রমেই উঠছে।’
‘তাই আমাদের ধারাবাহিকতা জরুরী। সবাই বুঝতে পারছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পারফর্ম করার জন্য কি করতে হবে। তারা সবাই অনেক কাজ করছে। সে কারণেই আমরা সফলতম ধারাবাহিকতা দেখতে পাচ্ছি মুশফিকের কাছ থেকে, দেখছি সাকিব-রিয়াদ ও তামিমের কাছ থেকে। দলটি এখন তরুণ-অভিজ্ঞের সমন্বয়ে সফলতা অর্জন করতে ঝাঁপিয়ে পড়ছে।’