নিরাপত্তা ঝুঁকির খবরে একদিন বুলেটপ্রুফ ভেস্ট পরেই ক্ষান্ত দিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। বলেছেন, সাধারণ পোশাক পরেই নির্বাচনের বাকি প্রচারণায় অংশ নেয়ার পরিকল্পনা তার।
কানাডা পুলিশ জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর ওপর হামলা হতে পারে, এমন একটি নিরাপত্তা ঝুঁকির খবর পেয়েছে তারা। সেজন্যই তাকে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে জনসমক্ষে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল।
অবশ্য ওই সম্ভাব্য হামলার খবর সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানায়নি পুলিশ।
ট্রুডো আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের প্রচারণার অংশ হিসেবে একটি রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে সম্প্রতি বুলেটপ্রুফ ভেস্ট পরে গিয়েছিলেন। শনিবার অন্টারিওর মিসিসওগাতে আয়োজিত ওই প্রচারণা র্যালিতে ৯০ মিনিট দেরি করে পৌঁছেছিলেন। তার দৈনন্দিন শার্ট আর জ্যাকেটের ভেতর তার সুরক্ষা বর্মটাও দেখা যাচ্ছিল।
পুলিশের বরাতে সিবিসি জানায়, ওই সময় ট্রুডোকে ঘিরে ছিল ইউনিফর্ম পরা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের বলয়, যাদের প্রত্যেকের সঙ্গে ছিল একটি করে ব্যাকপ্যাক। সেই ব্যাকপ্যাকে শক্তিশালী আগ্নেয়াস্ত্র।
দলীয় কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে দাঁড়িয়ে সমাবেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। যাওয়ার সময় শুধু উপস্থিত জনগণের সঙ্গে কথা বলেন। এমনকি ওই অনুষ্ঠান ট্রুডোর স্ত্রী সোফি গ্রেগয়ার-ট্রুডো সঞ্চালনা করার কথা থাকলেও তিনি সেখানে ছিলেনই না।
ওই একদিন বিশেষ পোশাক পরেই বিরক্ত হয়ে গেছেন জাস্টিন ট্রুডো, যার প্রমাণ মিলল পরদিন। রোববার তিনি আরেকটি অনুষ্ঠানে কোনো ভেস্ট ছাড়াই শুধু শার্ট পরে অংশ নেন।
‘এটা (নিরাপত্তা ঝুঁকি) আমার প্রচারণার ধরন কোনোভাবেই পাল্টাতে পারবে না,’ ইয়র্কে আয়োজিত সমাবেশের ভাষণে বলেন ট্রুডো।
তার বিরুদ্ধে হামলার ঝুঁকির ব্যাপারে জানতে চাইলে সে বিষয়ে কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানান কানাডার প্রধানমন্ত্রী। বলেন, তার কাছে সবার আগে তার পরিবার এবং র্যালিতে আসা জনগণের নিরাপত্তা গুরুত্বপূর্ণ।
জাস্টিন ট্রুডোর নিরাপত্তা নিয়ে হুমকি এবং তার বিশেষ সুরক্ষার বিষয়টি কানাডার সবার কাছেই বেশ অস্বাভাবিক একটি ব্যাপার। কেননা কানাডায় সিনিয়র রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের খুব কমই উচ্চমাত্রার নিরাপত্তার দরকার পড়ে।
Very upsetting to hear that Justin Trudeau had to wear a bulletproof vest tonight at a campaign event. Threats of violence against political leaders have absolutely no place in our democracy. Thank you to the RCMP for taking these threats seriously and keeping us safe.
— Andrew Scheer (@AndrewScheer) October 13, 2019
এ কারণে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের ওপর সব ধরনের হুমকির নিন্দা জানিয়েছেন ২১ অক্টোবরের নির্বাচনে ট্রুডোর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরাও।