কক্সবাজারের মহেশখালীতে নিখোঁজ হওয়ার ৬ দিন পর গৃহবধূ আফরোজার লাশ শ্বশুরবাড়ির উঠানের মাটি খুুুঁড়ে উদ্ধার করা হয়েছে।
মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের উত্তর নলবিলা গ্রামে গত ৬ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন গৃহবধূ আফরোজা বেগম।
অনেক খোঁজাখুঁজির পর মহেশখালী থানা পুলিশ শনিবার ১৭ অক্টোবর রাত ১১টায় তার স্বামী রাকিব হাসান বাপ্পির বাড়ির আঙ্গিনার মাটির নিচ থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত আফরোজা মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের পূঁইছড়া গ্রামের মোঃ ইসহাকের মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এক বছর আগে উত্তর নলবিলা গ্রামের হাসান বশিরের ছেলে বদরখালী কলেজের খণ্ডকালীন প্রভাষক রাকিব হাসান বাপ্পির সাথে আফরোজার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই ছিল।
পারিবারিক কলহের জের ধরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা পর্যন্ত গড়ায়। কিছুদিন আগে মামলায় আপোষের মাধ্যমে বাপ্পি আফরোজাকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। এরইমধ্যে গত ১২ অক্টোবর বাপ্পির মা রোকেয়া হাসান আফরোজা নিখোঁজ হয়েছে বলে আফরোজার বাবার বাড়িতে খবর দেয়। নিখোঁজের এই খবরটি আফরোজার বাবার পরিবার মহেশখালী থানায় অবগত করে এবং পুুলিশ বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। এরপর আফরোজার স্বামী রাকিব হাসান বাপ্পিও পলাতক হয়ে যায়। বাপ্পি কেন পলাতক হলো এ নিয়ে পুলিশের পাশাপাশি পুরো এলাকায় সন্দেহ সৃষ্টি হয়।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এবং বাপ্পির ১ম স্ত্রীর শিশু কন্যার তথ্যমতে মহেশখালী থানার পুলিশ শনিবার বিকেল থেকেই মহেশখালী উপজেলার উত্তর নলবিলা এলাকায় অভিযান চালায়। রাত ১১টার দিকে পুলিশ গৃহবধূ আফরোজার শ্বশুর বাড়ির উঠানের এক কোনায় মাটি খুঁড়ে আফরোজার লাশ উদ্ধার করে।
মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল হাই জানান, গভীর রাতে নিখোঁজ আফরোজার মরদেহ তার স্বামী বাপ্পির বাড়ির উঠানে গর্ত খুঁড়ে উদ্ধার করা হয়। আফরোজাকে খুন করে মাটিতে পুঁতে রেখেছিল।
রোববার সকালে নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ঘটনার পর আফরোজার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সবাই পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে মহেশখালী থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।