নারায়ণগঞ্জে সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ ও সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদসহ নতুন করে ৮ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় ৮৫ জনের করোনা পজিটিভ।
অন্যদিকে ভাইরাস প্রতিরোধে জেলার সড়ক ও নৌপথে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে: আইইডিসিআর থেকে দুইটি প্রতিনিধি দল নারায়ণগঞ্জে অবস্থান করছে। তারা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে করোনা ভাইরাসের স্যাম্পল সংগ্রহ করবে। নগরীর খানপুরে অবস্থিত নারায়ণগঞ্জ ৩শ’ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে আজ থেকেই রোগী রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগ কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর জীবানুনাশক দেওয়ার পর আজ তা খুলে দেয়া হয়েছে। লকডাউন কার্যকর করতে এবং নারায়ণগঞ্জ থেকে যাতে অন্য কোন জেলায় মানুষ যেতে না পারে সেজন্য গতকাল রাত থেকে র্যাব ও পুলিশ কঠোর অবস্থান নিয়েছে। বিভিন্ন স্থানে তারা অতিরিক্ত চেক পোষ্ট বসিয়েছে।
শহরে জনসমাগম অন্যন্য দিনের তুলনায় আজকে অনেক কম। পুলিশ সুপার জাহিদুল আলম জানিয়েছেন, সাতজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে সাতটি থানা এলাকায় বিভক্ত হয়ে পাড়া মহল্লায় টহল জোরদার করেছে।
র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল ইমরান উল্লা সরকার জানিয়েছেন: নারায়ণগঞ্জের কর্মরত গামের্ন্টস শ্রমিকরা রাতের অন্ধকারে দল বেঁধে নিজ নিজ জেলায় চলে যাওয়ায় সেখানে করোনা ভাইরাসে অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন। শহর থেকে যাতে কেউ বেরিয়ে যেতে না পারে সে জন্য সড়ক ও নৌপথে চেকপোস্ট বাড়ানো হয়েছে।