নাম ও চেহারায় মিল থাকায় ভুল আসামি হয়ে ২৭ দিন কারাগারে থাকার পর জামিন পেয়েছেন টাঙ্গাইলের তরুণ নয়ন।
বুধবার দুপুরে নয়নের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করলে সখিপুর আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আকরামুল ইসলাম তার জামিন মঞ্জুর করেন।
গত ২১ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের বাসাইলের চাপড়াবিল এলাকা থেকে নিখোঁজ হন সখিপুরের এক ছাত্রী। চারদিন পর উদ্ধার হওয়া ওই ছাত্রী জানায়, নয়ন নামের একজন তাকে অপহরণ করে কক্সবাজারে নিয়ে গিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর ২৫ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের ডিসি লেক এলাকায় তাকে ফেলে রেখে যায়। পরে সেখান থেকে উদ্ধার করে পরিবার।
একই দিন থানায় অভিযোগে করে পরিবার জানায়, অপহরণের ঘটনায় নয়ন নামের একজন জড়িত। নামের সূত্র ধরে গ্রেপ্তার হন একই গ্রামের শাজাহান মিয়ার ছেলে বাবুল হোসেন নয়ন। ওই ছাত্রীও পুলিশের সামনে নয়নকে শনাক্ত করে। তার নামে ধর্ষণ ও অপহরণের মামলাও করা হয়।
তবে অধিকতর তদন্তে দেখা যায় কারাগারে থাকা নয়ন নয়, ছাত্রী নিখোঁজের ঘটনায় জড়িত বাসাইল উপজেলার নূহু মিয়ার ছেলের নয়ন। অভিযুক্ত নয়নকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ। আদালতে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেয় মূল আসামি নয়ন।
এদিকে অপরাধী না হয়েও বিনাদোষে ২৭ দিন কারাভোগের পর আজ জামিন পাওয়ায় খুশি নয়নের পরিবার। দোষীদের বিচারও চেয়েছে তারা।
পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করে নয়নের আইনজীবী মো. সেলিম আলদীন বলেন, এ ঘটনায় মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। আমরা দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।