গ্রেপ্তারের পর মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
তার বিরুদ্ধে অপরাধের উদ্দেশ্যে বিশ্বাস ভঙ্গের তিনটি এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের একটি অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুর্নীতির দায়ে মঙ্গলবার নাজিবকে গ্রেপ্তার করে মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন কর্তৃপক্ষ। গতরাত তিনি পুলিশ হেফাজতে কাটিয়েছেন।
এর কয়েক ঘণ্টা আগেই অবশ্য নাজিব টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। সেখানে তিনি জনগণের প্রতি অনুরোধ জানান যেন তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো যেনো বিশ্বাস না করা হয়। তিনি দাবি করেন, সবগুলো অভিযোগ সত্যি নয়। ‘আমি আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগই পাইনি।’
Saya terima bahawa hari ini adalah hari saya dan keluarga menjalani dugaan dunia. pic.twitter.com/UbjGK9GBDb
— Mohd Najib Tun Razak (@NajibRazak) July 3, 2018
নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে ২০১৫ রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন বিনিয়োগ তহবিল ১এমডিবি’র ৭০ কোটি মার্কিন ডলার সরিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। নাজিবের গঠিত ওই তহবিল থেকে গায়েব হয়ে যাওয়া ওই অর্থের কোনো হিসেবও পাওয়া যায়নি।
এ অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন তিনি। ক্ষমতায় থাকাকালীন তার বিরুদ্ধে এ নিয়ে কোনো তদন্তও হয়নি।
তবে গত ৯ মে’র সাধারণ নির্বাচনে মাহাথির মোহাম্মদের কাছে হেরে যাওয়ার ক’দিন পর থেকেই নাজিবের বিরুদ্ধে নতুন করে দুর্নীতির তদন্ত শুরু হয়।
প্রথমে তদন্তের স্বার্থে নাজিব ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে মালয়েশিয়ার ভ্রমণ কর্তৃপক্ষ। এরপর তার বাসভবনে হঠাৎ করেই তল্লাশি চালায় পুলিশ। তল্লাশিতে মোটা অংকের বৈদেশিক মুদ্রা এবং বিপুল পরিমাণ বিলাসবহুল পণ্য জব্দ করার কথা জানানো হয়।
সর্বশেষ জুনের শেষদিকে পুলিশ জানায়, অভিযান চালিয়ে নাজিব রাজাকের বাড়ি থেকে ২৭৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যমানের জুয়েলারি সামগ্রী আটক করা হয়েছে। আটকের তালিকায় বিপুল পরিমাণ গহনা, হাতব্যাগ ও নগদ টাকা ছিল।