নবমীর বিহিত পূজার মধ্য দিয়ে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে নানা আচার আনুষ্ঠানিকতায় বরণ করা হয় দেবী দুর্গাকে। পরে ষোলটি উপকরণ দিয়ে মা দুর্গাকে অঞ্জলি আর ভক্তি নিবেদন করেন ভক্তরা। শারদীয় দুর্গা উৎসবের জমজমাট মণ্ডপগুলো সম্প্রীতির বাংলাদেশের চিত্র এমনটাই বলছেন সনাতন ধর্মের প্রতিটি মানুষ।
নবমীর সকাল মানে অশুভ শক্তি থেকে মুক্তি। শারদীয় দুর্গা উৎসবের নবমীর এই দিনটিতে দেবী দুর্গা অসুরকে বধ করেছিলেন। শ্রী রামচন্দ্র দুর্গার শক্তি আর আশীর্বাদ নিয়ে এই দিনে অশুভ রাবণকে বিনাশ করেছিলেন বলে শাস্ত্র মতে একে অকাল বোধন বলা হয়। সকালে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে বিহিত পুজার আনুষ্ঠানিকতায় দেবী দুর্গার প্রতি ভক্তদের ভক্তিতে জমজমাট হয়ে উঠে পূজা মণ্ডপ।
নবমী পূজার তাৎপর্য তুলে ধরেন ঢাকেশ্বরী মন্দিরের পুরোহিত। বলেন, মা ধরাধামে এসে এভাবে বারে বারে অশুভ শক্তি ধ্বংস করেছেন এবং শুভশক্তির উদয় করেছেন। মহানবমীর পূণ্যতিথিতে শ্রীরামচন্দ্র রাবণবধ সুনিশ্চিত করেছেন। আগামীকাল বিজয়া দশমীর মধ্যে দিয়ে তা পরিপূর্ণতা লাভ করবে।
ছুটির কটা দিনে মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরে বেড়ানো প্রতিমা দর্শন সব মিলিয়ে আনন্দ ফুরিয়ে যাচ্ছে বলে খানিকটা মন খারাপ হলেও, প্রতিটি পূজা মণ্ডপে শান্তি আর উৎসবের কমতি ছিলনা বলে মন্তব্য দর্শনার্থীদের।
সম্প্রীতির বাংলাদেশ সব ধর্মের প্রতি সম্মান রেখে এতিহ্যকে ধারণ করে আসছে বলে জানালেন পূজা মণ্ডপে আসা প্রত্যেকেই।
মঙ্গলবার বির্সজনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে শারদীয় দুর্গোৎসবের সব আনুষ্ঠানিকতা।