দুর্ঘটনার চতুর্থ দিনেও ডুবে যাওয়া ট্রলার কিংবা নিখোঁজ ১০ যাত্রীর সন্ধান দিতে না পারায় ধলেশ্বরীর তীরে অবস্থান নেয়া স্বজনরা উদ্ধার কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা ও নিখোঁজ যাত্রীদের স্বজনরা ধলেশ্বরী নদীর দুই তীরে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছে।
নারায়ণগঞ্জের ধলেশ্বরী নদীর তীরে নিখোঁজদের ফিরে পেতে অপেক্ষমান স্বজনরা উদ্ধার তৎপরতা নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
শনিবার সকালে ৪র্থ দিনের মতো উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের সমন্বিত উদ্ধারকারী দল।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান জানান, নিখোঁজদের স্বজনরা দুর্ঘটনার ৪ দিনেও স্বজনদের না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। এ কারণে স্বজনরা নদীর তীরে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ধলেশ্বরী নদীর তীরে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ধলেশ্বরী নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলার ডুবে ১০ জন নিখোঁজ হয়। তাদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযানে নামে ফায়ার সার্ভিসসহ আরও চারটি সংস্থা।
এদিকে এম ভি ফারহান-৬ যাত্রীবাহী লঞ্চের মাস্টার মো. কামরুল হাসান, চালক মো. জসিমউদ্দিন ভূইয়া ও সুকানী মো. জসিম মোল্লাকে আসামী করে ফতুল্লা থানায় মামলা করেছের বিআইডব্লিউটিএ’র উপ পরিচালক (নৌ নিরাপত্তা বিভাগ) বাবু লাল বৈদ্য।
তাছাড়া জব্দ করা হয়েছে লঞ্চটিও।
ফতুল্লা মডেল থানার পুলিশ পরির্দশক তরিকুল ইসলাম জানান: কুয়াশার মধ্যে আইন না মেনে বেপরোয়া গতিতে লঞ্চ চালিয়ে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে। । এ মামলায় গ্রেপ্তারকৃত তিনজনের ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।