ধর্ষণের অভিযোগ করা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামির সাথে কারাফটকে ভিকটিমের বিয়ে দিতে রাজশাহী জেল সুপারের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সেই সাথে এই বিয়ের বিষয়ে আগামি ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দিলীপের জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে উভয় পক্ষের সম্মতিতে
বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহষ্পতিবার এই আদেশ দেন।
আজ আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করে আইনজীবী ইয়ামিন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। এদিন আদালতে আদালতে এসেছিলেন ভিকটিম ও তার সন্তান।
এই মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ‘রাজশাহীর গোদাগাড়ি উপজেলার সিতানাথ খালকোর ছেলে দিলীপ খালকোর সঙ্গে তার খালাতো বোনের (ভিকটিম) ভালবাসার সম্পর্ক ছিল। সে সূত্রে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয় ও ভিকটিম অন্তঃসত্বা হন। তখন ভিকটিমের বয়স ছিল ১৪ বছর।
একপর্যায়ে ভিকটিমকে বিয়ে করতে না চাইলে গোদাগাড়ি থানায় দিলীপ খালকোর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা হয়। এরপর আসামির বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ২৯ জানুয়ারি রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। বিচার শেষে ওই বছরের ১২ জুন রায়ে দেন আদালত। রায়ে দিলীপ খালকোকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা কিরা হয়। সেই থেকে দিলীপ কারাবন্দী। সর্বশেষ আজ দিলীপের জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট কারাফটকে বিয়ের আদেশ দিলেন।