আগামী ৬ মাসের মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল এবং ভূটানের মধ্যে নাগরিকদের ব্যক্তিগত বাহনে চলাচল শুরু হবে বলে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ-ভারতের ব্যবসায়ী নেতারা।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দু’দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনায় অর্থমন্ত্রীও বলেছেন, কানেক্টিভিটি ছাড়া কোনো সহযোগিতাই কার্যকর হবে না।
বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল এবং ভূটানের মধ্যে সড়ক পথে নাগরিকদের চলাচলের ব্যাপারে চুক্তি সই হয়েছে ১৫ জুন। ৬ জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দু’দিনের বাংলাদেশ সফরে দু’দেশের মধ্যে ২২ টি চুক্তিও সমঝোতাও সই হয়েছে। এর প্রায় সবই বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির।
দুই প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক ঐক্যমতের পর ব্যবসায়ীরা নতুন করে পুরোনো আলোচনা শুরু করেছেন জোড়ে-শোরে। ঢাকায় ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের আয়োজনে সংলাপের আয়োজন এই প্রচেষ্টার প্রতিফলন।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, নতুন এই উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ সব ধরণের সহযোগিতা করবে। বাংলাদেশে এখন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় আছে।
সরকারের হৃদ্যতাপূর্ণ সহযোগিতা কাজে লাগিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে পণ্য ও সেবা এবং নাগরিকদের চলাচল নিশ্চিত করতে চান দু’দেশের ব্যবসায়ীরা।
ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের মহাপরিচালক রাজিব সিং বলেন, দেশগুলোকে এখন সব ধরণের চুক্তি, রীতি-নীতি মেনে নিতে হবে। নতুন এই উদ্দ্যোগের বিষয়ে আমরা অনেক আশাবাদী।
এফবিসিসিআই’র সভাপতি মাতলুব আহমাদ বলেন, বিগত দিনে কী হয়েছে তা নিয়ে চিন্তা করে খুব একটা লাভ নেই। আজ বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে যে সম্পর্ক আছে তা হলো বিশ্বাসের সম্পর্ক।
এখন এই ৪ দেশের মধ্যে ব্যক্তিগত বাহন চলাচল শুরু হলে দেশগুলোর পরস্পরের প্রতি বিশ্বাসই নির্দেশ করবে। বিগত দিনে ট্রানজিট ব্যবহার করা হয়নি, কারণ দেশগুলোর মধ্যে বিশ্বাস ছিলো না।
আলোচনায় ভারতীয় হাইকমিশনার পংকজ শরণ আবারো বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারতের নিয়তি একই সূত্রে গাঁথা। কাজেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ব্যাপারে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।