চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

রাতকানা রোগীর সংখ্যা ১ শতাংশে নেমে এসেছে

বিএসএমএমইউতে বিশ্ব পুষ্টি দিবসে সেমিনার

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর ফলে রাতকানা রোগ দেশ থেকে নির্মুল হয়েছে। রাতকানা রোগীর প্রায় ১ শতাংশে নেমে এসেছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ-২০২২ উপলক্ষ্যে ‘নিউট্রিশন: অপরটিউনিটিস এন্ড চ্যালেঞ্জেস’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ব্লকের মিলনায়তনে এ কর্মসূচির আয়োজন করে ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথ নিউট্রিশন।

ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের যত অর্জন ও সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া তার সব হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভিশিনারী লিডার না হলে, ওই সময় ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথ নিউট্রিশনের মত স্বাস্থ্যসেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলো গঠন করা সম্ভব হতো না। সেই সময় বসে বঙ্গবন্ধু জনগণের স্বাস্থ্যসেবা দানের নানান প্রতিষ্ঠান গড়ে দিয়ে গেছেন।

তিনি বলেন, আমরা উত্তরবঙ্গের মঙ্গা দেখেছি। জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর উন্নয়মূলক কর্মকা- বাস্তবায়নের ফলে উত্তরবঙ্গের মঙ্গাকে জয় করে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ।

অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, এক সময় দেশে প্রতি বছর ৩০ হাজার শিশু রাতকানা রোগে আক্রান্ত হত। ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর ফলে রাতকানা রোগ দেশ থেকে নির্মুল হয়েছে। রাতকানা রোগীর প্রায় ১% এ নেমে এসেছে। এটি সম্ভব হয়েছে ইপিআই সেন্টারের মাধ্যমে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর ফলে। এ কারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভ্যাকসিন হিরোতে ভূষিত করেছে আর্ন্তজাতিক সংস্থা।

উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার উন্নয়নমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন হয়েছে। এখন আর গ্রামের মায়েরা টিনের কৌটার দুধ বাচ্চাদের খাওয়ান না। বাচ্চাদের মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। যেসব ওয়ার্কিং মা আছেন, সেসব মারা যদি বাচ্চাদের বুকের দুধ খাওয়ান তবে তারা সুস্থ থাকবে, বেশী কর্মক্ষম হয়ে ওঠবেন।

অনুষ্ঠানে প্যানেল বক্তা হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ- উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ জাহিদ হোসেন, কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, দ্যা অবস্ট্রিক্যাল এন্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি)-র সভাপতি অধ্যাপক ডা. ফেরদৌসী বেগম বক্তব্য রাখেন।

এছাড়াও সেমিনারে স্পিকার হিসেবে নিউন্যাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সঞ্জয় কুমার দে, ওজিএসবি’র সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. গুলশানা আরা বক্তব্য রাখেন।