দেশেকরোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ শুরুর পর থেকে আজ পর্যন্ত তা গ্রহণ করেছেন ৩৭ লাখ ৮৩ জন মানুষ। এর মধ্যে পুরুষ ২৩ লাখ ৭৮ হাজার ৬৭৫ জন এবং নারী ১৩ লাখ ২১ হাজার ৪০৮ জন।
আজ রোববার একদিনে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪৮ হাজার ৯৩০ জন। যার মধ্যে পুরুষ ৩০ হাজার ৬৩৫ জন এবং নারী ১৮ হাজার ২৯৫ জন।
রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সী অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের (এমআইএস) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে জানানো হয়, ঢাকা মহানগরীতে ভ্যাকসিন নিয়েছেন ১০ হাজার ৭৫১ জন। এরমধ্যে পুরুষ ছয় হাজার ৪৫৭ জন ও নারী চার হাজার ২৯৪ জন ভ্যাকসিন নেন।
ঢাকা বিভাগে ভ্যাকসিন নিয়েছেন ২০ হাজার ৬৭ জন। এরমধ্যে পুরুষ ১২ হাজার ৩৪২ জন ও নারী সাত হাজার ৭২৫ জন ভ্যাকসিন নেন। এছাড়াও ময়মনসিংহ বিভাগে দুই হাজার ৭১৩ জন ভ্যাকসিন নেন; যার মধ্যে পুরুষ এক হাজার ৭২৫ ও নারী ৯৮৮ জন।
চট্টগ্রাম বিভাগে ছয় হাজার ৮৬২ জন ভ্যাকসিন নেন; যার মধ্যে পুরুষ ছয় হাজার ৮৬২ জন ও নারী দুই হাজার ৪৪৮ জন ভ্যাকসিন নেন।
রাজশাহী বিভাগে চার হাজার ৯৮৪ জন ভ্যাকসিন নেন; যার মধ্যে পুরুষ তিন হাজার ১৩৪ জন ও নারী এক হাজার ৮৫০ জন।
রংপুর বিভাগে ছয় হাজার ৪০১ জন ভ্যাকসিন নেন; যার মধ্যে পুরুষ চার হাজার ১৪৪ জন ও নারী দুই হাজার ২৯৭ জন। খুলনা বিভাগে তিন হাজার ৭৭৮ জন ভ্যাকসিন নেন; যার মধ্যে পুরুষ দুই হাজার ২৬৬ ও নারী এক হাজার ৫১২ জন।
বরিশাল বিভাগে দুই হাজার ৪২০ জন ভ্যাকসিন নেন; যার মধ্যে পুরুষ এক হাজার ৫৪২ জন ও নারী ৮৭৮ জন এবং সিলেট বিভাগে এক হাজার ৭১৫ জন ভ্যাকসিন নেন; যার মধ্যে পুরুষ এক হাজার ১০৮ জন ও নারী ৫৯৭ জন।
আজ বিকাল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত টিকার জন্য সারাদেশে নিবন্ধন করেছেন ৭২ লাখ ৪৮ হাজার ৮২৯ জন। সারাদেশে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৫৮ লাখ ১৯ হাজার ৯১২ জন। যার মধ্যে পুরুষ ৩৬ লাখ আট হাজার ৯৭৯ জন ও নারী ২২ লাখ ১০ হাজার ৯৩৩ জন।
রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালসহ দেশের এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেয়া হয়। গত ৮ এপ্রিল থেকে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ শুরু হয়েছে।
গত ২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। সেসময় দুই দিনে মোট ৫৬৭ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।
বাংলাদেশে এই ভ্যাকসিন পরীক্ষামূলক প্রয়োগ না হওয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুযায়ী তাদের এক সপ্তাহ পর্যবেক্ষণ করা হয়। কারও মধ্যে গুরুতর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা না দেওয়ায় পরিকল্পনা মত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে গণ ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হয়।