দেশের সকল নৌযানে ফিটনেসসহ আইন অনুযায়ী যা-যা থাকা দরকার তার কী কী আছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন ৯০ দিনের মধ্যে হাইকোর্টে দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার প্রেক্ষাপটে করা দুটি রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালত তার আদেশে অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় করা সবগুলো তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ৩০ দিনের মধ্যে হাইকোর্টে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া এই ঘটনায় আহত-নিহতদের তালিকা আদালতে দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আর অভিযান ১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে আহত কেউ চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা চাইলে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসককে তা বিবেচনা করতে বলেছেন হাইকোর্ট।
আজ আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনিক আর হক ও অ্যাডভোকেট ইউনুস আলী আকন্দ। তাদের সাথে ছিলেন আইনজীবী সৌমিত্র সরদার, আনিসুর রহমান রায়হান, মোঃ ইসা, আনিচুর রহমান ও মহিউদ্দিন পলাশ।
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃতদের ৫০ লাখ এবং গুরুতর আহতদের ২০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণের নির্দেশনা চেয়ে রোববার রিট করন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। সে রিটে অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চাওয়া হয়। অন্যদিকে গত সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৌমিত্র সরদার হাইকোর্টে আরেকটি রিট করেন। সে রিটে লঞ্চ, জাহাজসহ নৌযানের বিষয়ে যাবতীয় তথ্য চাওয়া হয়। সেই সাথে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে আগুন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, সে বিষয়ে রুল চাওয়া হয়।